১৬ বছর পর রাঙামাটি পার্কের যাত্রা

১৬ বছর পর রাঙামাটি পার্কের যাত্রা

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি প্রতিনিধি

দীর্ঘ ১৬ বছর পর যাত্রা শুরু করল রাঙামাটি পার্ক। সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে পার্কটি আনুষ্ঠানিক উন্মুক্ত করেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ।

এসময় রাঙামাটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. জামাল উদ্দীন, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান কাজি নজরুল ইসলাম, দৈনিক রাঙামাটি সম্পাদক মো. আনোয়ার আল হক উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে রাঙামাটি শহরে শিশু-কিশোরদের একটি বিনোদনের স্থান পেয়ে সন্তষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

পার্ক উন্মুক্ত
করার পর ভিড় জমতে থাকে বিভিন্ন বয়সের মানুষের। শিশু-কিশোরদের মিলন মেলায় পরিণত হয় পুরো পার্কস্থল। আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে সবাই।

উচ্ছ্বাসের আমেজ ছড়িয়ে পরে চারপাশে।

রাঙামাটি মুল শহরের মধ্যে কাপ্তাই হ্রদ ঘিরে স্থানপায় পার্কটি। পার্কে শিশু-কিশোরদের বিভিন্ন বিনোদর সামগ্রিও বসানো হয়। এছাড়া পার্ক জুড়ে রয়েছে হরেক রকম ফুলের বাগান। প্রকৃতির সৌন্দর্যের আদলে পার্কে অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে।

জানা গেছে, স্থানীয়দের দীর্ঘ বছরের দাবি ছিল রাঙামাটি পার্কের সংস্কার ও উন্নয়নের। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের উদাাসিনতার কারণে দখল হয়ে যায় রাঙামাটি পার্কটি বেশিরভাগ জমি। পার্কে শিশু-কিশোরদের চেয়ে বেশি আনাগোনা ছিল বখাটেদের। তাই আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়ে যায় পার্কের সৌন্দর্য। অযত্নে অবহেলায় নষ্ট হয়ে যায় পার্কের সব সরঞ্জাম।


রাঙামাটি পৌর প্যানেল মেয়র মো. জামাল উদ্দীন বলেন, রাঙামাটিবাসীর দীর্ঘ দিনে দাবি ছিল পার্কেটি সংষ্কার করার। কেউ এগিয়ে আসেনি। কিন্তু রাঙামাটি জেলা প্রশাসক নিজ উদ্যোগে পার্কটি একটি নতুন রূপ দিয়েছে।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ বলেন, রাঙামাটি পার্কটি সংস্কারের জন্য বিভিন্ন মানুষের সহযোগিতা
রয়েছে। নতুন রূপের পার্কটি সাজানোর হয়েছে শুধু সুবিধা বঞ্চিত শিশু-কিশোরদের। তারা যাতে এ পার্কে খেলাধুলা করতে পারে তার জন্য বেশ কিছু সরঞ্জাম এখানে স্থাপন করা হয়েছে। আরও কিছু বিনোদনমূলক খেলার সামগ্রি এখানে বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

রাঙামাটি পার্কটি একমাস পর্যন্ত প্রবেশ মূল্য ছাড়া উন্মুক্ত থাকবে। এরপর পার্কের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সাধারণ প্রবেশ মূল্য নিধারণ করা হবে।

পার্ক উন্মুক্ত থাকবে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)