প্রেম করল একজন, ধর্ষণ করল অন্যজন

প্রেম করল একজন, ধর্ষণ করল অন্যজন

অনলাইন ডেস্ক

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পশ্চিম রাজনগর এলাকায় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনার রাতেই গ্রামের গণ্যমান্যরা ১ লাখ টাকায় ঘটনা ধামাচাপা দিতে মেয়ের পরিবারকে চাপ দেয়।

আজ সোমবার বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদকে অবহিত করলে তিনি পুলিশের স্মরণাপন্ন হন এবং বিষয়টি ফাঁস হয়। পরে আজ দুপুরের পর পুলিশ মেয়েটিকে হেফাজতে নিয়েছে।

অভিযুক্ত সায়েম (২৫) ওই এলাকার মজিবরের ছেলে ও এক সন্তানের বাবা।
     
নির্যাতিতা মেয়ের মা ও চেয়ারম্যান সূত্রে জানা গেছে, বেশকিছু দিন আগে মেয়েটির সঙ্গে স্থানীয় যুবক ও একই মাদ্রাসার ছাত্র মাজেদুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনার সময় ওই এলাকার এক যুবক সায়েম মাজেদুল সেজে মেয়েটিকে ফোন করে বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে আসতে বলে। মেয়েটি মাজেদুলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সায়েমকে দেখতে পেয়ে বাড়ির দিকে আসতে চাইলে সায়েম মেয়েটির মুখ চেপে ধরে পাশের ধান ক্ষেতে নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।

কিছুক্ষণ পরে মেয়ে বাড়ি ফিরে তার মাকে বিস্তারিত বললে লোকজন বিষয়টি জেনে ফেলে। এরপর রাতেই স্থানীয় কয়েকজন ওই এলাকার ইউপি মেম্বার আব্দুল আলীকে ডেকে এনে বিষয়টি মীমাংসার জন্য ১ লাখ টাকা দেওয়ার শর্তে মেয়ের পরিবারকে চাপ দেয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাহীনুল ইসলাম, সম্রাট, ওসামান, খোরশেদ, আজমত আলীসহ অন্তত ১৫ জন।

নির্যাতিতা মেয়েটি জানিয়েছে, ঘটনা মীমাংসার জন্য শাহীনুল, সম্রাট, আছমত ও ওসমান চাপ দেয়।

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহাম্মেদ বাদল জানিয়েছেন, মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত ও সালিশদারদের ধরতে পুলিশ অভিযানে নেমেছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)