উত্তাল হয়ে আছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়; গ্রেপ্তার ২১

উত্তাল হয়ে আছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়; গ্রেপ্তার ২১

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতে উত্তর প্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ফাঁকা করে দেওয়া হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছে সেখানকার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, গতকালের সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে ২১ জনকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ জনই ছাত্র।

সে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন ছাত্র ও ১০ জন পুলিশ আহত হয়েছেন। গতকাল জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পরপরই ছাত্ররা জড়ো হয় আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটেও।

পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কর্ডন ভেঙে ফেলেন ছাত্ররা। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথরও ছুড়তে শরু করা হয়।

তার জের ধরেই সংঘর্ষ শুরু হয়। আজ সকাল থেকেই ছাত্রদের ক্যাম্পাস ছাড়ার ব্যস্ততা দেখা গেছে। বাড়ি পৌঁছাতে যানবাহন পাওয়া যাবে কিনা সেটা নিয়েও দুশ্চিন্তায় ছিলেন অনেক ছাত্র। যাদের বাড়ি ৩৫০ কিলোমিটারের মধ্যে তাদের পৌঁছে দিতে বেশ কয়েকটি বাসের ব্যবস্থা করেছে উত্তরপ্রদেশ রাজ্য পরিবহন নিগম। পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, বিহারের ছাত্ররা যেন ট্রেনে নিজেদের রাজ্যে ফিরতে পারে সে জন্যও সক্রিয় হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ছাত্রদের একাংশের দাবি, তাদের সঙ্গে সঠিক আচরণ করা হয়নি। তাদের বক্তব্য, বিক্ষোভকারীদের একাংশ যদি পাথর ছুড়েও থাকে তাহলেও পুলিশের উচিত ছিল সংযত আচরণ করা। কিন্তু উলটো পুলিশ লাঠিচার্জ করে। তারপরে ক্যাম্পাসে ঢুকে পার্ক করে রাখা গাড়িগুলোরও ক্ষতি করে পুলিশ। হোস্টেলেও ঢুকেছিল পুলিশ বাহিনী। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিওতেও পুলিশকর্মীদের বাইক ভাঙতে দেখা যায়।  

কিন্তু উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি ও পি সিংহ জানান, পুলিশের বিরুদ্ধে ভাঙচুর করার কোনও অভিযোগ আসেনি। ও পি সিংহ দাবি করেন, কর্তৃপক্ষের অনুরোধের জন্যই ক্যাম্পাসে বাহিনী পাঠানো হয়েছে। গতকাল গভীর রাতে সেখানে যায় পুলিশের সাঁজোয়া গাড়ি। আলিগড় শহরেও ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার।  

সূত্র : আনন্দবাজার 

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ