‘ইরাককে জানিয়েই মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা’

‘ইরাককে জানিয়েই মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা’

অনলাইন ডেস্ক

ইরাককে জানিয়েই সেদেশে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ। বলেছেন, এর কারণ হলো ইরাকের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় তেহরান।

জারিফ আজ তেহরানে ইরাক দূতাবাসে শোকবইতে সইয়ের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ইরানি জেনারেল সোলাইমানি নিহতের ঘটনায় আজ বুধবার ইরাকের দুই মার্কিন ঘাটিতে হামলা চালিয়েছে ইরান।

এতে ৮০ মার্কিন সেনা নিহত ও ২০০জন আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের ইরবিল ও আল-আসাদ বিমান ঘাঁটিতে এ হামলায় প্রায় ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানি বাহিনী। এতে তাদের বিমান ও অন্য সরঞ্জামের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানায়।

হামলার ব্যাপারে জারিফ আরও বলেন, ইরান সেই ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে যেখান থেকে জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকি কমান্ডার আবু মাহদিসহ ১০ জনকে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি ইরাকি জনগণের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে বলেন, ইরানি জেনারেল সোলাইমানি ও ইরাকি কমান্ডার আবু মাহদির শাহাদাতের মধ্যদিয়ে দুই দেশের জনগণের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সংহতি চিরদিনের জন্য নিশ্চিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র এই হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে পশ্চিম এশিয়ায় তাদের উপস্থিতির অবসান ঘটবে মন্তব্য করে জারিফ বলেন, আমেরিকা এই অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতি ও গুণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই উপহার দিতে পারেনি।

আজ সকালে ইরান ইরাকে অবস্থিত দুই মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে।

এদিকে এ হামলাকে জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী।

ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার পর এক সমাবেশে তিনি বলেছেন, আজ ভোরে যে প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে তা একটি চপেটাঘাত মাত্র।

‌‘গতরাতে একটি চপেটাঘাত করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গোটা অঞ্চলে মার্কিন সেনা উপস্থিতির অবসান ঘটাতে হবে। ’

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, তারা এই অঞ্চলে যুদ্ধ, বিশৃঙ্খলা ও ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে এসেছে। বিভিন্ন দেশের অবকাঠামো ধ্বংস করে দিচ্ছে।

সোরাইমানি হত্যার পর ইরাক সরকার মার্কিন সেনাদের বহিষ্কারের বিষয়ে সংসদে যে বিল পাস করেছে তারও প্রশংসা করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী।

‘ইরানের সংসদও মার্কিন বাহিনীকে সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ভালো করেছে। ’

আমেরিকার কোনো অপরাধ সহ্য করা হবে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমেরিকা চায় ইরাকের সরকার ইরানের সাবেক পদলেহি সরকার অথবা বর্তমান সৌদি সরকারের মতো হবে।

‘তেলসমৃদ্ধ এই অঞ্চল তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে যাতে তারা যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। তারা দুধেল গাভী চায়। কিন্তু ইরাকের ঈমানদার তরুণ সমাজ এবং ধর্মীয় নেতৃত্ব এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। ’

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর