ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ইরানের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক আদালতে যাচ্ছে ৫টি দেশ। এই দেশগুলোর নাগরিকরা সেদিনের বিমান হামলায় মারা গেছেন। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দেশগুলোর প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক করা হবে। সেখানে ইরানের বিরুদ্ধে আইনগত কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায় সেই বিষয়ে বিস্তর আলোচনা হবে।
এদিকে ইরানের বিভিন্ন শহরে গতকাল তৃতীয় দিনের মতো সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগানে মুখরিত ছিল বিক্ষোভস্থল। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনি ও প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির পদত্যাগের দাবি করে বিক্ষোভ করছিল বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের ভাষ্যমতে, আমেরিকা নয়, দেশের ভেতরেই আমাদের শত্রু আছে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাদিম প্রিসতাইকো বলেন, ইরানে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ৫ দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠক আগামী বৃহস্পতিবার লন্ডনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ বৈঠকে আইনগত পদক্ষেপসহ ক্ষতিপূরণের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রিসতাইকো। তবে কোন ৫টি দেশ এ বৈঠকে থাকবে তা জানা যায়নি।
গত বুধবার বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ১৭৬ আরোহীর মধ্যে ইরানের ৮২ জন, কানাডার ৬৩, ইউক্রেনের ১১, সুইডেনের ১০, আফগানিস্তানের ৪ এবং ব্রিটেন ও জার্মানির ৩ জন করে নাগরিক মারা যান।
ভুলবশত বিমানটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয় বলে ইরান স্বীকার করার পর দেশে বিক্ষোভসহ বিদেশেও ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সরকার। তেহরানে বড় ধরনের বিক্ষোভ চলছে। সে বিক্ষোভে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পদত্যাগের দাবি উঠেছে।
বিক্ষোভে সরকার দমন-পীড়ন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। যদিও সরকার সেটি সরাসরি অস্বীকার করেছে।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ