সুন্দরীদের মাসে ৩০ হাজার টাকা দিতেন পাপিয়া

সুন্দরীদের মাসে ৩০ হাজার টাকা দিতেন পাপিয়া

অনলাইন ডেস্ক

জোগাড় করা তরুণীদের মাসে ৩০ হাজার টাকা করে দিতেন পাপিয়া। বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউয়ের মোবাইল ফোন ঘেটে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনী।

এছাড়াও রাজধানীর অভিজাত হোটেলগুলোতে ‘ককটেল পার্টি’ নামে নাচগানার আসর বসাতেন পিউ। সুন্দরী তরুণীদের নিয়ে  নাচগানের আসরে মউজ মাস্তিতে মেতে ওঠতেন বড় বড় ব্যবসায়ী, আমলা, প্রশাসনের বড় বড় ব্যক্তি ও রাজনীতিবিদেরা।

ওই অশ্লীল নাচ-গানের ভিডিও করে রাখা হত সুকৌশলে। পরে ওই ভিডিও ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইল করা হত প্রভাবশালীদের। এভাবে তাদের কাছ থেকে বড় বড় কাজ বাগিয়ে আনতেন পাপিয়া।

একটি সূত্র জানায়, পাপিয়ার মোবাইল ফোন অশ্লীল ভিডিওতে ঠাসা।

অশ্লীল ভিডিও তুলে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতেন পাপিয়া। লজ্জায় কেউ মুখ খুলত না। এসব ভিডিওতে থাকা ৭ জন উঠতি বয়সী তরুণীর সঙ্গে র‌্যাবের কথা হয়েছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, টিপসের বাইরে এসব তরুণীকে মাসে ৩০ হাজার টাকা করে দিতেন পাপিয়া। এসব তরুণীকে আইনের আওতায় আনা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, তাদের অপরাধের বিষয়টিও অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এসব তরুণী যদি ব্ল্যাকমেইলের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তবে তাদেরও আইনের মুখোমুখি হতে হবে।

র‌্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, রাজনীতির আড়ালে মাদক ও নারীদের নিয়ে ‘বাণিজ্য’ করতেন পাপিয়া। রাজধানীর তারকা হোটেলগুলোয় মাঝেমধ্যেই ‘ককটেল পার্টি’র আয়োজন করতেন। এসব পার্টিতে উপস্থিত হতেন সমাজের উচ্চস্তরের লোকজন। পার্টিতে নাচাগানার তালে তালে ভিআইপিদের মদ সরবরাহ করত উঠতি বয়সী সুন্দরী তরুণীরা।

মদের নেশায় টালমাটাল আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কৌশলে ধারণ করা হতো ওই তরুণীদের অশ্লীল ভিডিও। পরে ওইসব ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করতেন পাপিয়া। বনিবনা না হলেই ফেসবুকে ছড়িয়েও দেওয়া হতো।

আরেকটি সূত্র জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই পাপিয়ার কাছ থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক মাথা ঘুরিয়ে দেয়া খবর। পাপিয়ার অপকর্মের সঙ্গীদের ধরতে এরই মধ্যে একাধিক অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযান চলছে।

পাপিয়ার বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস জানার চেষ্টা করছে র‌্যাব। র‌্যাব জানতে পেরেছে, পাপিয়া ও তার স্বামী সুমন চৌধুরী অনলাইন ক্যাসিনোর গডফাদার সেলিম প্রধানের গুলশানের বাসায় ক্যাসিনো খেলতেন। সেলিম প্রধান কারাগারে গেলেও অনেকেই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান। এদের মধ্যে পাপিয়া ও সুমন চৌধুরী অন্যতম।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর