অচেতন করে নার্সকে ‘দুই দিন ধরে ‌ধর্ষণ’ করল ডাক্তার

অচেতন করে নার্সকে ‘দুই দিন ধরে ‌ধর্ষণ’ করল ডাক্তার

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরায় এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে নার্সকে কোমল পানীয়'র সাথে চেতনানাশক খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শহরের শিমুল ক্লিনিকের অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. রিয়াজুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

দুইদিন ক্লিনিকে আটকে রেখে ধর্ষণের খবর পেয়ে ওই নার্সকে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার এক কিশোরী ১৫ দিন আগে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল খুলনা রোড এলাকার শিমুল ক্লিনিকে নার্সের চাকরি নেয়। চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই তার উপর নজর পড়ে ওই ক্লিনিকের ডাক্তার রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজের। সে প্রায়ই ওই কিশোরীকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে।

তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১০ টার দিকে রিয়াজ কৌশলে কোমল পানীয়'র সাথে তাকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে দেয়। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী অচেতন হয়ে পড়লে কর্মচারী মাহমুদ ও ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ দুজনে তাকে ক্লিনিকের তিন তলা থেকে ছাদের উপর নিয়ে ধর্ষণ করে।  

এদিকে, রাত সাড়ে তিনটার দিকে জ্ঞান ফেরার পর সে বাইরে আসার চেষ্টা করলে তাকে একটি রুমের মধ্যে আটকে রাখে ক্লিনিকের মালিক শহিদুল ও তার ছেলে মিঠুন। ডাক্তার রিয়াজুলের সাথে তাকে বিয়ে দেবে এই প্রলোভন দেখিয়ে বিষয়টি জানাজানি না করার জন্য ওই কিশোরীকে প্রস্তাব দিয়ে দুইদিন ঘরের মধ্যে আটকে রাখে শহিদুল। তাকে বাইরের কারও সাথে যোগাযোগও করতে দেয়নি তারা।

এদিকে, দুদিন ধরে ওই কিশোরীর কোনো খোঁজ না পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি সদর থানায় পুলিশকে জানায়। পরে শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে সদর থানা-পুলিশ শিমুল ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় ওই কিশোরী নিজে বাদী হয়ে ধর্ষক ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, ক্লিনিকের মালিক শহিদুল ও তার ছেলে মিঠুনসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ধর্ষক ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর