বাসার দরজা ভেঙে সাংবাদিককে আটক ও দণ্ড:  প্রতিবাদে মানববন্ধন

বাসার দরজা ভেঙে সাংবাদিককে আটক ও দণ্ড: প্রতিবাদে মানববন্ধন

হুমায়ুন কবির সূর্য্য, কুড়িগ্রাম

‘তুই জ্বালাচ্ছিস’ বলে বাসার দরজা ভেঙে সাংবাদিককে আটক করে দণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদে ফুসে উঠেছে কুড়িগ্রামের সাংবাদিকসহ স্থানীয় সর্বস্তরের মানুষ।

শনিবার দুপুরে শহরের শাপলা চত্বরে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, আতাউর রহমান বিপ্লব, সাংবাদিক রাজু মোস্তাফিজ, হুমায়ুন কবির সূর্য, ছানালাল বকসী, শ্যামল ভৌমিক, দুলাল বোস প্রমূখ।

শুক্রবার রাত ১২টার দিকে কুড়িগ্রাম শহরের চড়ুয়াপাড়াস্থ বাড়ি থেকে আটকের পর রিগানকে তুলে নিয়ে যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, টাস্কফোর্সের মাদক বিরোধী অভিযানে গভীর রাতে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার বাড়ি থেকে ৪৫০ এমএল দেশি মদ ও ১০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ, আনসার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানের সময় মাদকসহ আরিফুল ইসলাম রিগানকে আটক করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে সে দোষ স্বীকার করায় এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের স্ত্রী মোস্তারিমা সরদার নিতু অভিযোগ করে বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করে আমাদের বাড়ির গেটে ধাক্কাধাক্কির শব্দ শুরু হয়। আমরা জানতে চাই, কারা ধাক্কাচ্ছে। এসময় বলা হয়, দরজা খুলুন, না হয় ভেঙে ফেলা হবে। এসময় আমার স্বামী কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসিকে ফোন করলে তিনি বলেন, থানা থেকে কোনও পুলিশ সেখানে যায়নি, কারা গেছে বিষয়টি তিনি দেখছেন। এর মধ্যেই তারা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়ে। ঢুকেই মারতে শুরু করে আরিফকে। আমার স্বামী ও আমি জানতে চাই আপনারা কারা, কেন মারছেন। এসময় তারা আরিফকে তুই অনেক জ্বালাচ্ছিস−এই কথা বলেই মারধর শুরু করে। মারতে মারতে তাকে নিয়ে যায়। তাকে একটা শার্ট পরারও সময় দেওয়া হয়নি। মাত্র পাঁচ-সাত মিনিটের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে যায়। বাসায় কোনও তল্লাশি অভিযানও চালানো হয়নি। অথচ দাবি করা হয়েছে তার কাছে মদ ও গাঁজা পেয়েছে। ’

তিনি আরও জানান, ‘বাড়িতে প্রবেশ করা ৭/৮ জন আনসার বাহিনীর পোশাক পরা ছিল। এছাড়া বাইরে আরও ৪০ থেকে ৫০ জন দাঁড়িয়েছিল। আশপাশের লোকজন যাতে বাইরে বেরুতে না পারে সেজন্য প্রতিটি বাড়ির গেটের সামনে ২/৪ জন করে দাঁড়িয়েছিল। ’

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর