যশোরে হাসপাতালের জানালা ভেঙে হাজতির পলায়ন

প্রতীকী ছবি।

যশোরে হাসপাতালের জানালা ভেঙে হাজতির পলায়ন

যশোর প্রতিনিধি

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের পেছনের জানালা ভেঙে হাজতি পালানোর ঘটনায় সোমবার দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ জেলারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

ক্লোজড পুলিশ সদস্যরা হলেন-পুলিশের নায়েক নাজমুল, কনস্টেবল আসাদ।

অপরদিকে হাজতি পালানোর ঘটনা তদন্তে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পলাতক হাজতিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ কোতয়ালি থানায় নারী নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা একটি মামলার আসামি মো. সুজন ওরফে শাকিলকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

তার সর্দি, কাশি, জ্বর ও গলাব্যথা ছিল। এজন্য হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে। এরপর তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর এ পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন হাজতির নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন পুলিশের নায়েক নাজমুল, কনস্টেবল আসাদ, কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী প্রধান কারারক্ষী শাহজাহান হোসেন, কারারক্ষী সাজ্জাদ হোসেন, মনির হোসেন, সাইদুল ইসলাম।

রোববার রাত ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডের কর্তব্যরত নার্স তুলি খাতুন হাজতি মো. সুজন ওরফে শাকিলের ওষুধ খাওয়ানোর জন্য কেবিনে নক করেন। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে দায়িত্বরত ফোর্সদের ডাক দেন। এরপর ফোর্সের সদস্যরা ওয়ার্ডের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে রুমে হাজতিকে খোঁজখুঁজি করে পাননি। তখন দেখতে পান রুমের পেছনের জানালা ভাঙা। হাজতি আইসোলেশন ওয়ার্ডের জানালা ভেঙে পালিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় কারাগারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর