মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম হাওলাদারের বিরুদ্ধে আরেক হত্যা মামলার বাদীর ভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে নিহত ওই ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম মোস্তাফিজুর রহমান (৫০)। তিনি রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর এলাকার মৃত মালেক হাওলাদারের ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার দুপুরে বাজিতপুর এলাকার নিজ বাড়ির পাশে একটি মুরগীর খামারে কাজ করছিলেন মোস্তাফিজুর। তাকে একা পেয়ে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ধাওয়া করে। এ সময় তিনি দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে মাটিতে পড়ে যান। পরে তাকে মারধর করে দুর্বৃত্তরা।
নিহতের মেঝ ভাই জুয়েল হাওলাদার বলেন, ‘আমরা ছয় ভাই। এক ভাই খুন হওয়ার এক বছর ৬ দিনের মাথায় আজ (শনিবার) খুন হলো আমাদের সবার বড় ভাই। চেয়ারম্যান সিরাজুল আমাদের সব ভাইকে একে একে মেরে ফেলে ও একা রাজত্ব করতে চায়।
আমরা ওর সাথে পারছি না। কিছু না বললেও ওই চেয়ারম্যান ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে আমাদের ওপর বারবার হামলা চালায়। চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমার ভাইকে একা পেয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়েছে। তাকে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে পাড়ায়। লাঠি দিয়ে পিটাইয়া হত্যা করে। আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার চাই। ’
অভিযোগের বিষয় জানতে বাজিতপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, ‘আজ সকালে থেকে আমি ভিজিডির চাল বিতরণ করেছি। পরে বাজারে মাইকিং করছি। আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত নই। ’
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শওকত জাহান বলেন, ‘হামলার বিষয় আমরা এখনো কিছু বলতে পারছি না। ওই এলাকায় চেয়ারম্যানের সাথে দীর্ঘদিনের বিরোধ নিহত ওই পরিবারের সাথে। যা সবাই জানে। এর আগেও একটি হত্যা মামলায় চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করা হয়েছিল। আমরা সেই বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে সর্তক অবস্থানে আছি। এছাড়াও খবর পেয়ে আমরা ওই এলাকা
সরেজমিন গিয়েছি। আমরা নিহত পরিবারের পাশে আছি। তবে এখনো তারা আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। তারা যদি অভিযোগ দেন তাহলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ’
উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ মে মোস্তাফিজুরের ছোট ভাই সোহেল হাওলাদার খুন হয়। এ হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ছিলেন ওই চেয়ারম্যান।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)