মাদারীপুরে মাদক নিয়ে সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যু

মাদারীপুরে মাদক নিয়ে সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যু

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর

ঈদের পরের দিন রাতে জুয়া খেলা ও মাদক খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বুধবার রাতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাসেল ঘরামী (২৬) নামে এক যুবকের মুত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বুধবার রাতে সদর মডেল থানা পুলিশ নিহত রাসের চাচাতো ভাই কামাল ঘরামীকে আটক করেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের চাপাতলী গ্রামের ঘরামী বাড়ী। নিহত রাসেল একই এলাকার দেলোয়ার ঘরামীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের চাপাতলী গ্রামে ঈদের পরের দিন মঙ্গলাবার রাতে বাড়ির পাশে বাগানে বসে রাসেলসহ কয়েকজন মাদক সেবন করে জুয়া খেলছিল। এসময় রাসেলের চাচাতো ভাই জাহিদ জুয়া খেলাকে বাধা দিলে রাসেল ও তার জুয়া খেলার সদস্যরা জাহিদকে মারধর করে। পরে জাহিদ বাড়িতে গিয়ে আটক কামালসহ বাড়ির অন্যান্য ভাইদের নিয়ে জুয়া খেলার স্থানে আসলে জুয়া খেলার অন্য সদস্যরা দৌড়ে পালিয়ে গেলেও রাসেল ঘটনাস্থলেই দাঁড়িয়ে থাকে। এসময় রাসেলের চাচাতো ভাইরাই রাসেলকে মারধর করে।

এতে রাসেল আহত হলে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা দেওয় হয় এবং রাসেলের অবস্থার অবনতি হলে বুধবার রাতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মধ্য রাতে রাসেলের মুত্যু হয়। এ ঘটনায় রাসেলে বাবা বুধবার রাতে সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর রাতেই চাপাতলী এলাকা থেকে মন্নাত ঘরামী ছেলে কামাল ঘরামীকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

নিহত রাসেলের বাবা দেলোয়ার ঘরামী জানান, আমার ছেলেকে যারা আঘাত করে মেরে ফেলেছে আমি তাদের বিচার চাই।

নিহত রাসেলের চাচাতো ভাই মকবুল হোসেন জানান, মাদক বা জুয়ার কোনো ঘটনা এখানে ঘটেনি, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। পরিকল্পিতভাবে রাসেলকে হত্যা করা হয়েছে। তাছাড়া বাবার কাছে টাকা চাইতেই পারে বা মাদক খেতে পারে তাই বলে তাকে কেউ মেরে ফেলবে এটাতো কারো অধিকার নাই।

মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা জানান, আমরা প্রাথমিক অবস্থায় যেটা জেনেছি নিহত ছেলেটি মাদক সেবন করতো এবং ওই দিন জুয়া খেলা নিয়েও একটি মারামারি হয়েছে কিন্ত বুধবার রাতে জানতে পেরেছি ছেলেটি মারা গেছে। তবে আমরা তার মুত্যু সংবাদের আগেই একজনকে আটক করেছি। আমরা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর