বগুড়া-১ ও যশোর-৬ উপ-নির্বাচন বর্জন করল বিএনপি

বগুড়া-১ ও যশোর-৬ উপ-নির্বাচন বর্জন করল বিএনপি

অনলাইন ডেস্ক

আসন্ন বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলটির গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা মো. শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আজ ৫ জুলাই রোববার সন্ধ্যায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয়ের সভাপতিত্বে বিএনপি’র স্হায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল বৈঠক শেষে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মহাসচিব। ’

আরও বলা হয়, মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও বন্যার মধ্যে নির্বাচন কমিশন বগুড়া-১ ও যশোর-৬ সংসদীয় আসনে নির্বাচনী তারিখ ঘোষণাকে অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য মনে করেছে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি।

সেজন্যে বিএনপি এ দুটি আসনে উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।

মহাসচিবের নির্দেশ মোতাবেক বার্তা পাঠিয়েছেন বলেও জানান শায়রুল কবির খান।

শনিবার (৪ জুলাই) এক জরুরি বৈঠকে আসন দুটিতে আগামী ১৪ জুলাই ভোটগ্রহণের পুনঃতারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

দুই আসনেই করোনার কারণে গত ২১ মার্চ ভোট স্থগিত করেছিল ইসি।

সে সময় পর্যন্ত নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বৈধ প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে প্রচারণাও চালান। ভোট হওয়ার কথা ছিল ২৯ মার্চ।

বগুড়া-১ আসন
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর আসনটির উপ-নির্বাচনের বৈধ ছয় প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

প্রার্থীরা হলেন—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের সহধর্মিণী সাহাদারা মান্নান (নৌকা), বিএনপির একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির মোকছেদুল আলম (লাঙ্গল), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) মো. রনি (বাঘ), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নজরুল ইসলাম (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ (ট্রাক)।

গত ১৮ জানুয়ারি সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান মারা গেলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। এরপর শূন্য আসনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

এ নির্বাচনে মোট ৩ লাখ ৩০ হাজার ৮৯৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

যশোর-৬ আসন
এ আসনে বৈধ তিন প্রার্থী প্রতীক পেয়েছিলেন। তারা হলেন—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহীন চাকলাদারকে (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ (ধানের শীষ) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব (লাঙ্গল)।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইসমাত আরা সাদেক জয়ী হন। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি তিনি মারা যান। তার শূন্য আসনে নির্বাচনের তফসিল দেয় ইসি।

এ আসনে ২ লাখ ৩ হাজার ১৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

করোনার মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করার বিষয়ে ইসি সচিব মো. আলমগীর ইতোমধ্যে বলেছেন, ভোটার দুই-একজন হলেও নির্বাচন হবে।

আইন অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষে ভোটে অংশ না নেওয়ার কোনো আইনগত সুযোগ নেই। কেননা, কেউ ভোটে অংশ না নিলেও তার জন্য ব্যালট পেপার ছাপানো হবে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর