যুক্তরাষ্ট্রকে তোয়াক্কা না করে চীন ও ইরানের বাণিজ্য চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রকে তোয়াক্কা না করে চীন এবং ইরান ২৫ বছরের একটি কৌশলগত সহযোগিতার চুক্তি নিয়ে বোঝাপড়া চূড়ান্ত করে ফেলেছে। এরই মধ্যে তেহরানের মন্ত্রিসভা চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া অনুমোদন করেছে। বাকি রইলো দুই দেশের পার্লামেন্টের অনুমোদন। আর চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান উত্তেজনার মাঝে বেইজিং-তেহরানের এই হাত মেলানোয় বিপাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এতে এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক চালচিত্র পাল্টে যাবে বলে আভাস দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

যুক্তরাষ্ট্রের রক্তচক্ষু তোয়াক্কা না করে চীন এবং ইরান চুপচাপ একটি ব্যাপক সামরিক এবং বাণিজ্য অংশীদারিত্বের খসড়া চূড়ান্ত করে ফেলেছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি খবর প্রকাশিত হয়েছে। চুক্তি অনুসারে, আগামী ২৫ বছরের মধ্যে তেহরানে প্রায় ৪০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বেইজিং। জ্বালানি, বন্দর, সামরিক, তথ্যপ্রযুক্তিসহ ইরানের বিভিন্ন খাতে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করবে শি জিং পিংয়ের দেশ।

এর বদলে চীন কম বিনিময় মূল্যে ২৫ বছর ধরে তেল ও গ্যাসের পর্যাপ্ত সরবরাহ পেতে থাকবে। ইরানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর, এই খসড়া চুক্তির প্রস্তাবে এরই মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি সম্মতি জানিয়েছেন। এখন চুক্তিটি অনুমোদনের জন্য ইরানের পার্লামেন্টে তোলা হবে। সেখানে অনুমোদন পেলে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। তবে গত সপ্তাহে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ এই চুক্তির খসড়া তৈরির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এ নিয়ে চীনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। অন্যদিকে, চীনের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান চুক্তির ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে বলেছেন, বেইজিং তেহরানের মধ্যে ঐতিহ্যগতভাবে মৈত্রী সম্পর্ক রয়েছে এবং দুই পক্ষ এখন পরস্পরের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতির জন্য যোগাযোগ চালাচ্ছে। চীন-ইরান এক হওয়ার অর্থ হলো আরব বিশ্বে মার্কিন আধিপত্যের দেয়ালে বড়সড় ফাটল দেখা দেওয়া। পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের নির্ভরযোগ্য ডজন-খানেক মিডিয়ায় বিভিন্ন নিবন্ধে বিশ্লেষকরা বলেন, চীন ও ইরানের এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্য তথা এশিয়ার বিরাট একটি অংশের ভূ-রাজনৈতিক চালচিত্র বদলে দেবে।