চট্টগ্রাম সমুদ্রে বন্দর দিয়ে চীন, তুরস্ক, মিশর ও মিয়ারমার থেকে প্রায় সাড়ে ৫৭ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আসছে। আমদানিকারকরা বলছেন, এসব পেঁয়াজ বাজারে আসলে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা সম্ভব।
এদিকে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরই খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজের দর বেড়ে যায় কেজিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। তবে সংশ্লিস্টরা বলছেন, সংকটের জন্য নয় বরং বন্দর কেন্দ্রিক সিন্ডিকেটের কারণেই বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।
গেল তিন মাসে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এক হাজার বিরাশি মেট্রিকটন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এই সমুদ্র বন্দর দিয়ে চীন, তুরস্ক এবং মিশর থেকে আমদানি করা সাড়ে ৫৭ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আসছে বলে জানালেন চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বুলবুল।
এসব পেঁয়াজ বাজারে আসলে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা সম্ভব বলে জানালেন আদমানিকারকরা।
এদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবরে খাতুনগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ করেই বেড়ে যায় সব ধরণের পেঁয়াজের দাম।
আরও পড়ুন: মেয়র আতিকের উপস্থিতিতে বনানীতে অবৈধ সাইনবোর্ড উচ্ছেদ অভিযান
জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, সংকটের জন্য নয় বরং বন্দর কেন্দ্রিক ৫০ আমদানিকারকের সিন্ডিকেটের কারণেই বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।
এদিকে খাতুনগঞ্জের বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও কমেনি খুচরা বাজারে। ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজিতে আর দেশীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকায়। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
তবে টিসিবিতে ৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে ভোক্তারা।
নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ