আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আজ গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
দুই দেশের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের আনুষ্ঠানিক এ বৈঠকে ভূস্থানিক সহযোগিতামূলক ‘বেসিক এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড কো-অপারেশন-বেকা’ চুক্তি, সই হবার কথা রয়েছে।
ভারত–চীন সীমান্ত উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে যা দুই দেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্কের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া কূটনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে একাধিক চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, বৈঠকে যোগ দিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার গতকাল দুপুরে দিল্লি এসে পৌঁছান। সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৈঠকে বসেন মাইক পম্পেওয়ের সঙ্গে। আজ হায়দরাবাদ হাউসে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর দুই দেশের সাংবাদিকদের সঙ্গে তাঁরা মিলিত হবেন। আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দুই মন্ত্রী দেখা করবেন।
আরও পড়ুন: ফরাসি পণ্য বয়কট করতে তুর্কি জনগণের উদ্দেশ্যে এরদোগান
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক এক সপ্তাহ আগে এই বৈঠক কূটনৈতিক পর্যায়ে বেশ কৌতুহলের সৃষ্টি করেছে। নির্বাচনের প্রাক্কালে এত বড় মাপের কূটনৈতিক পদক্ষেপের যৌক্তিকতা ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে, বিশেষ করে সম্ভাব্য নির্বাচনী ফল যখন দুই পক্ষের কাছেই অজানা। কিন্তু তা সত্ত্বেও দুই দেশের কূটনৈতিক মহলের বিশ্বাস, রাজনৈতিক পালাবদল ঘটলেও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মৌলিকতায় কোনো পরিবর্তন ঘটবে না। ফলে পারস্পরিক স্বার্থে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে দুই দেশের কারও পক্ষেই অসুবিধা হবে না। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এই সফর নিয়ে জারি করা এক বিবৃতিতে বলেছে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আগামী বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও বাড়াবে।
আরও পড়ুন: ফরাসি পণ্য বয়কট করতে তুর্কি জনগণের উদ্দেশ্যে এরদোগান
সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনা উপস্থিতি জোরদার হয়ে উঠেছে। সফর শুরুর আগে সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে পম্পেও বলেন, ‘ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়া যেতে মুখিয়ে আছি। এই সহযোগীদের সঙ্গে একযোগে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর স্বাধীন, ভয়মুক্ত বিকাশে আমরা সচেষ্ট। ’
গত মে মাসে ভারত–চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এবং কোভিড পরিস্থিতিতে চীনের ‘সার্বিক সম্প্রসারণবাদের’ বিরুদ্ধে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার জোটবদ্ধতার (কোয়াড) নিরিখে এই বৈঠকের গুরুত্ব অপরিসীম। ‘বেকা’ চুক্তির ফলে প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ভূস্থানিক গোয়েন্দা তথ্যের সব ধরনের সাহায্য ভারত পাবে। এই সফর দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা বাণিজ্যেরও প্রসার ঘটাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
news24bd.tv নাজিম
