বঙ্গবন্ধু টি-২০ গোল্ডকাপ ক্রিকেট টিমে চান্স না পাওয়ায় সজীবুল ইসলাম সজীব (২২) নামে জাতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দলের একজন তরুণ ক্রিকেটার আত্মহত্যা করেছেন।
শনিবার দিনগত রাতে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা আমগাছি গ্রামের বাড়িতে ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসমত আলী রোববার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সজীব জাতীয় অনূর্ধ্ব ১৫, ১৭ ও ১৯ দলের ক্রিকেটার ছিলেন।
সবীজ জাতীয় দলের হয়ে বিদেশের মাটিতে বেশ কিছু ম্যাচও খেলেছেন।সজীব দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা আমগাছি গ্রামের মোরশেদ আলীর ছেলে। একজন সম্ভাবনাময় তরুণ ক্রিকেটার হিসেবে সজীবের এই অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
জানা গেছে, গত ১৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ ক্রিকেট দলের জন্য খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ হয়।
এদিকে পরিবার ও স্থানীয়দের সুপারিশে পুলিশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে সজীবের লাশ হস্তান্তর করেন পুলিশ। রোববার বিকালে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা মেডিকেলের মহাপরিচালকের বিদায়
ক্রিকেটার সজীবের বড় ভাই তসিকুল ইসলাম জানান, তার ভাই সজীবের ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি ঝোঁক ছিল। পরিবারের বাধা সত্ত্বেও ক্রিকেট চর্চা করে জাতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ দলে সুযোগ করে নেন। রাজশাহী কাটাখালী বাংলা ট্র্যাক নামের একটি ক্রিকেট একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেন। তিনি জাতীয় টিম অনূর্ধ্ব ১৫, ১৭ ও ১৯ দলের হয়ে দেশে বিদেশে একাধিক ম্যাচ খেলেছেন।
তিনি জানান, সজীব জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলোয়াড় হয়ে শ্রীলংকার মাটিতে বেশ কয়েকটি দলের বিপরীতে ম্যাচ খেলেন। ভারতের বিপক্ষে ব্যাট করে সেই ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯৫ রান সংগ্রহ করেন সজীব। সজীবের এই সংগ্রহ দলের পক্ষে ছিল সর্বোচ্চ।
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে সজীব বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। দলে সুযোগ পেতে সব পরীক্ষাও দিয়েছিলেন। গত ১৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে উত্তীর্ণ খেলোয়াড়দের তালিকায় প্রকাশ করা হয়। ওই তালিকায় তার নাম না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েন। পরিবারের দাবি এতে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
news24bd.tv আহমেদ