সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের আওতাধীন দুবলার চরের আলোরকোলে শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রাস পূর্ণিমার পূণ্যস্নান। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ও ধর্মীয় স্পর্শকাতরতা বিবেচনায় এবারের রাস উৎসবে শুধু হিন্দু পূণ্যার্থীদের অংশগ্রহণ করতে পারবে। এসব হিন্দু পূণ্যার্থীরা শনিবার সকাল থেকে নিদৃষ্ট ৫টি রুট দিয়ে সুন্দরবনের দুবলারচরে যাতায়াত করতে পাবেন।
আগামী ৩০ নভেম্বর সকালে রাসপূজা ও পূণ্যস্নানের মাধ্যমে শেষ হবে এবারে সুন্দরবনে রাম পূর্ণিমায় রাস উৎসব।
এবার করোনার কারণে হিন্দু তীর্থযাত্রী ছাড়া অন্য কাউকে রাসপূজা ও পূণ্যস্নানে যাবার অনুমতি দেয়নি সুন্দরবন বিভাগ।
রাসপূজা ও পূণ্যস্নান উপলক্ষে এবার সুন্দরবনের বনজ সম্পদ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণসহ পূণ্যস্নানে আগত পূণ্যার্থীদের জানমালের নিরাপত্তা ও আইনশৃৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে টহল শুরু করেছে কোস্টগার্ড। উৎসবের যোগ দিতে দুবলার চরে যাতায়াতের জন্য বন
বিভাগ অনুমোদিত ৫টি রুটের সকল নৌযানে কোস্টগার্ড ও বন বিভাগ যৌথভাবে তল্লাশীর ব্যবস্থা করছে।
কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. বিএন খন্দকার মুনিফ তকি জানান, রাসপূজা ও পূণ্যস্নানে অংশ নেওয়া পূণ্যার্থীরা যেন সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী শিকার ও অবৈধভাবে গাছ কাটতে না পারে সে জন্য নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোস্টগার্ডের টহল শুরু হয়েছে।
আলোরকোল এলাকার প্রবেশ মুখে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যৌথভাবে তল্লাশী করে পূণ্যার্থীদের প্রবেশের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কোস্টগার্ডের জাহাজ স্বাধীন বাংলার তত্ত্বাবধানে ওই এলাকায় একটি ডুবুুরি ও একটি মেডিকেল দল সার্বাক্ষণিক টহলে নিয়োজিত থাকছে।
যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি দ্রুত মোকাবেলার জন্য দুবলার চরে কোস্টগার্ড স্টেশানের নিচতলায় কন্ট্রোল রুম (মোবাইল নম্বর-০১৫৩৫৮৮৯২০৪ এবং অতিরিক্ত-০১৭৬৯৪৪৪৩৩৩) স্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৬ গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে বিয়ের আসরে স্বামী!
মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন এম হাবিব উল আলম জানান, রাস পূর্ণিমা উৎসব উদযাপনে কোস্টগার্ডের নিজস্ব প্রস্তুতির পাশাপাশি র্যাব, বনবিভাগ, নৌ পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
news24bd.tv তৌহিদ
