রাজধানীর কলাবাগানে ইংলিশ মিডিয়াম মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেল (১০ম) শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে ফারদিন ইফতেখার দিহান নামের তরুণকে আসামি করে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মামলাটি করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে গুরুতর অবস্থায় আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতলে নিয়ে যায়।ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বলেন, আমার মেয়ের এ বছর ও লেভেল পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। পরীক্ষার সাজেশন্স দেয়ার কথা বলে ওকে ডেকে নিয়ে যায় ফারদিন ইফতেখার দিহান।
কেজিএফ : চ্যাপ্টার টু’র টিজার লিক অনলাইনে!
পশ্চিমা গণতন্ত্র নড়বড়ে ও ভঙ্গুর : রুহানি
প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণ, ঘরজামাই গ্রেফতার
তিনি আরও বলেন, ওরাই আমাকে ফোন দিয়ে বলেছে আন্টি ও (ভূক্তভোগী) অসুস্থ।
নিহতের পরিবার জানায়, গ্রুপ স্টাডির কথা বলে তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সকালে সে (ভূক্তভোগী) নিজেই তার মাকে জানায়, পড়াশোনার প্রয়োজনে তাকে বাইরে যেতে হবে। পরে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে দিহান নিজেই (ভূক্তভোগীর) মাকে ফোন করে জানায়, সে অসুস্থ। এরপর আবার দিহান ফোন করে জানায়, সে মারা গেছে।
কলাবাগান থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) ঠাকুরদাস মালু জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার জন্য কলাবাগানে আসে মেয়েটি। তার বন্ধু তাকে ডলফিন গলির বাসায় নিয়ে যান। সে সময় সেই বন্ধুর বাসায় তার পরিবারের কেউ ছিল না। রক্তাক্ত অবস্থায় দুপুরে ওই স্কুলছাত্রীকে ও তার বন্ধুরা আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিকেল সোয়া ৩টায় হাসপাতাল থেকে লাশ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠায় পুলিশ। ওই বাসা থেকে বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। যেখানে শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ মিলেছে।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান জানান, চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়। তখন লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠান তারা।
news24bd.tv/আলী