বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার চুরির দায়ে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার চুরির দায়ে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনার মূল হোতা যুবলীগের সাবেক নেতা পলাশ শরীফকে গ্রেপ্তার করেছে গোপালগঞ্জ পুলিশ।

সোমবার সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (সদর সার্কেল) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন।

এর আগে রোববার মাদারীপুরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

দিহানের বাসার দারোয়ান আটক

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছানোয়ার হোসেন বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট এলাকায় চন্দ্রা পরিবহন নামে একটি বাসে অভিযান চালিয়ে পলাশ শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পলাশ শরীফ পলাতক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর থানায় অপহরণসহ দুইটি মামলা রয়েছে।

গ্রেপ্তার পলাশ শরীফ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউপি যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি। তিনি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম শরীফ ওরফে লাচ্চু শরীফের ভাই।

পলাশ শরীফ গত উপজেলা নির্বাচনে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বলে স্থানীয়রা জানায়।

গত বছরের ২৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের একুশে ফেব্রুয়ারি গ্রন্থাগার থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরি হয়। এ ঘটনায় ওই বছরের ১০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করেন।

পরে রাজধানীর এক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৩৪টি কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহেদ মাহামুদ বাপ্পী জানান, কম্পিউটার চুরির সাথে যুবলীগ নেতা পলাশ শরীফ জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। সে কারণে গত ১৩ অগাস্ট জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শে যুবলীগ থেকে পলাশকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চুরি যাওয়া ৪৯টি কম্পিউটারের মধ্যে ৩৪টি উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাকি ১৫টি কম্পিউটারের হদিস মেলেনি।

প্রসঙ্গত, এ নিয়ে গত তিন বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট চার বার চুরির ঘটনা ঘটেলো। এতে অন্তত দেড় শতাধিক কম্পিউটার চুরি হয়েছে। ২০১৭ সালে ৫০টি, ২০১৮ সালে ৪৭টি ও ২০১৭ সালের আগেও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বেশকিছু কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে।

news24bd.tv/আলী