বাড়ির কাজের কথা বলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর পতিতাবৃত্তি করায় ওরা

বাড়ির কাজের কথা বলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর পতিতাবৃত্তি করায় ওরা

Other

বাগেরহাটের মোংলা পের্ট পৌরসভার সিগনাল টাওয়ার এলাকার এক কিশোরীকে দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস ধরে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করাসহ ধর্ষণের ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

ওই কিশোরী মঙ্গলবার থানায় মামলা দায়েরের পর ধর্ষকসহ পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অপরাধে মোংলা থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে সন্ধ্যায় তাদের আটক করে।

ধর্ষিতা কিশোরী মোংলার সিগনাল টাওয়ার এলাকা মোহাম্মদ ইসমাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।

মোংলা থানার ওসি (তদন্ত) তুহিন মন্ডল জানান, মোংলা পৌর শহরের সিগনাল টাওয়ার এলাকার জনৈক ব্যক্তির কিশোরী মেয়েকে ৬ মাস পূর্বে তার আত্মীয় শিউলি বেগম ও শারমিন বেগম কাজের কথা বলে শরণখোলার ধানসাগর এলাকায় নিয়ে যায়।

এরপর সেখানে ওই কিশোরীকে রেখে বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে তারা। এরপর গত ১১ জানুয়ারি কিশোরীর মা-বাবা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে মোংলায় নিয়ে আসে।

কাগজের সঙ্গে ঘুমন্ত মেহেদীর দেহও ঢুকল মেশিনে, হলো টুকরো টুকরো

এর আগে শরণখোলার ধানসাগর এলাকায় বাড়িতে আটকে রেখে এবং বিভিন্ন বাড়িতে নিয়ে তাকে পতিতাবৃত্তি করায় তারা। কিশোরীকে তার পরিবার উদ্ধার করে আনার পর মঙ্গলবার থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই কিশোরী।

মামলায় শারমিন বেগম (৩০), শিউলি বেগম (৪৫), পারভিন বেগম (৩৫), শিল্পী বেগম (৩৬), আলী হোসেন (৩৮), দেলো পাটোয়ারী (৩০) ও তায়েবা বেগমকে (৩০) আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।

এ ঘটনায় কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে দেলো পাটায়ারী আর জোর করে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করায় তার আত্মীয় শারমিন, শিউলি ও শিল্পীকে আটক করেছে পুলিশ। মামলার অপর আসামি দুই ধর্ষক আলী হোসেন ও তায়েবা বেগম পলাতক রয়েছে।

আটকদের বাড়ি মোংলার কাইনমারী ও সিগনাল টাওয়ার এলাকায়। তাদেরকে বুধবার সকালে বাগেরহাট জেল হাজতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

news24bd.tv তৌহিদ