কয়েক মাস ধরে ১৭ বছরের এক তরুণীকে ৩৮ জন ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভারতের কেরালায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ভারতের গণমাধ্যম। এ ঘটনায় মালাপুরাম পুলিশ ধর্ষণসহ ৩২ টি মামলা করেছে।
এই বিষয়ে ইনচার্জ পুলিশ কর্মকর্তা মহম্মদ হানিফা বলেন, নির্ভয়া সেন্টারে কাউন্সিলিংয়ের সময় নাবালিকা সব কথা জানায়।
তিনি বলেন, বাচ্চাটি চাইল্ড কেয়ার সেন্টার থেকে ছুটি পাওয়ার কয়েকদিন পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপর গত বছরের ডিসেম্বর মাসে পান্ডিকড থেকে তার খোঁজ পাওয়া যায়।ভালগারিজম নিয়ে মুখ খুললেন পূর্ণিমা
পান্ডিকড থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে নির্ভয়া কেন্দ্রে পাঠানো হয়। নির্ভয়া কেন্দ্রে কাউন্সিলিংয়ের সময় সে নৃশংস সব ঘটনার বিবরণ দেয়।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী মল্লপুরম জেলার পান্ডিকড এলাকার বাসিন্দা। তরুণীর মা ২০১৫ সালে তার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করে পুলিশের কাছে। তারপর পুলিশ উদ্ধার করে তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেয়। সেই সময়ে পকসো আইনে দু’টি মামলা রুজু করা হয়। ২০১৭ সালে একই রকম একটি অভিযোগ দায়ের হয় পরিবারের পক্ষ থেকে।
প্রায় প্রতিটি মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ পকসো আইনে শুনানি চালাচ্ছে। তারপর গত ডিসেম্বর মাসের শেষে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তরুণী তার বন্ধুর মোটর সাইকেলে বেরিয়েছিল, তারপর ফেরেনি। যেহেতু সে নাবালিকা, ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তাই তার বয়ান রেকর্ড করানো হয়।
পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে ৪৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, এদের মধ্যে বেশিরভাগকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ মোট ৩২টি পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ৩টি ধর্ষণের ঘটনা।
প্রথমবারের বয়ানে সে উল্লেখ করে ১৫টি যৌন হেনস্থার ঘটনার কথা। একমাস পর আবার নতুন করে তার বয়ান রেকর্ড করা হলে সেখানে সে আরও ১২টি যৌন হেনস্তার কথা উল্লেখ করে। যার মধ্যে রয়েছে একটি ধর্ষণের ঘটনাও।
তরুণী জানিয়েছে, মা দিনমজুরি করতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেন, তখন সারাদিন একাই থাকতে হত তাকে। এই সুযোগে প্রতিবেশীরা তাকে হেনস্তা করতেন। আপাতত সে শিশু সেবা কেন্দ্রের একটি হোমে রয়েছে। পুলিশ তার অভিযোগের ভিত্তিতে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আরও ২০ জনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
news24bd.tv/আলী