যাকে অন্যতম শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বাইডেন

যাকে অন্যতম শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বাইডেন

অনলাইন ডেস্ক

আগামী চার বছর যেসব বিষয় নিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়তে হবে, উগ্র ডানপন্থা সেগুলোর একটি। আর বিষয়টি এককভাবে মোকাবেলা করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। অন্যান্য দেশ, বিশেষ করে ইউরোপকে সঙ্গে নিয়ে বাইডেনকে বিষয়টি মোকাবেলা করতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

উগ্র ডানপন্থাকে এরই মধ্যে অন্যতম শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বাইডেন।

গত বুধবার শপথ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে চরমপন্থা, শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদ ও অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসের উত্থান ঘটেছে। আমরা অবশ্যই এগুলোকে পরাজিত করব। ’ 

তিনি বলেন, ‘কোন শক্তি আমাদের মাঝে বিভাজন তৈরি করেছে, তা আমরা জানি। আমরা এ-ও জানি যে এটি নতুন কোনো শত্রু নয়।

এই শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে আমাদের। ’

নিউজিল্যান্ডের পাশাপাশি ইউরোপের প্রায় দেশেই গত কয়েক বছরে প্রাণঘাতী বহু হামলা চালিয়েছে উগ্র ডানপন্থীরা। বিদ্বেষ ছড়িয়েছে মুসলমান, অভিবাসী কিংবা উদারপন্থীদের বিরুদ্ধে। যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের মতাদর্শে ট্রাম্প প্রশাসন বাধা যতখানি দিয়েছে, উসকানি দিয়েছে তার চেয়ে বেশি। মার্কিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে বাম কিংবা নৈরাজ্যবাদীদের বিপরীতে উগ্র ডানপন্থীরা অনেক বেশি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েছেন।

ক্ষেপণাস্ত্রের প্রশিক্ষণে রাশিয়ায় সেনা পাঠাবে ভারত

প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাচ্ছে ৬৬ হাজার ১৮৯টি পরিবার

বান্ধবীদের কাছেই পিকে হালদারের ৮৬৭ কোটি টাকা

সম্প্রতি ‘ফরেইন পলিসি’ সাময়িকীতে লেখক হেদার অ্যাশবি লিখেছেন, ‘উগ্র ডানপন্থাকে একটি নির্দিষ্ট দেশের নির্দিষ্ট সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করলে মারাত্মক ভুল হবে। এটাকে বৈশ্বিক সংকট হিসেবে মেনে নেওয়ার সময় এসেছে। ’ তিনি আরো বলেন, ‘শিগগিরই যদি সমন্বিত উদ্যোগ না নেওয়া যায়, তাহলে উগ্র ডানপন্থাকে নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ বিশ্ব আর না-ও পেতে পারে। ’ 

৬ জানুয়ারি মার্কিন কংগ্রেসে হামলার ঘটনায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত হয় পাঁচজন। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, ওই দিনের সহিংসতায় যারা অংশ নিয়েছিল, তাদের অনেকে আগে থেকেই গোয়েন্দাদের নজরদারিতে ছিল। এ ছাড়া হামলার ঘটনায় যে ১৪০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে প্রায় ৪০ জন একসময় মার্কিন সামরিক বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে উগ্র ডানপন্থা সবচেয়ে বেশি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে জার্মানিতে। এ কারণে গত বছর জার্মান সামরিক বাহিনীর একটি অভিজাত ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তদন্তে দেখা গেছে, ওই ইউনিটের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা উগ্র ডানপন্থী গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত। নিউজিল্যান্ডে গত মার্চে এক উগ্র ডানপন্থীর হামলায় প্রাণ হারায় অর্ধশতাধিক মানুষ।

news24bd.tv/আলী