মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন। এতে কেবলই আল্লাহ তায়ালার কালাম। কোরআনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা ও অবমাননা থেকে তা রক্ষা করা একজন মুমিনের অবশ্যই পালনীয়। কোনো কোরআনের কপি যদি পুরনো হয়, ছিড়ে যায় ও তার পৃষ্ঠাগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়, তাহলে সেটি এমন জায়গায় রাখা যাবে না- যেখানে অমর্যাদা হয়।
শুধু পবিত্র কোরআন নয়, হাদিস গ্রন্থ থেকে শুরু করে, কায়দা, আমপারা এমনকি ইসলামি বই-পুস্তকের যেখানে আল্লাহর কালাম লিপিবদ্ধ সেগুলোর ক্ষেত্রেও একই হুকুম। এ কারণেই পুরনো নষ্ট হয়ে যাওয়া কিংবা ছিঁড়ে যাওয়া কোরআন ফেলে দেওয়ার রীতি পাকিস্তানে নেই। সেগুলোকে নির্দিষ্ট জায়গায় কবর দেওয়া হয়।পুরনো, ছিঁড়ে যাওয়া কোরআন কোথায় ফেলা হবে, পাকিস্তানে তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
শাবাজ বলেন, সন্তানদের জন্য এই জমি কিনেছিলাম, যাতে তারা বাড়ি বানাতে পারে। তারই অর্ধেকটা কোরআনের কবরস্থানের জন্য দান করেছি।
শাবাজ আর তাঁর ১৭ বছরের ছেলে কোরআনের জন্য কবর খোঁড়েন। আরও কিছু স্বেচ্ছাসেবক তাদের সাহায্য করেন। একটা কবর খুঁড়তে ১০ দিনও লেগে যায় মাঝেমধ্যে। এরপর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে কোরআনের অনেকগুলো ব্যাগ একসঙ্গে সেখানে কবর দেওয়া হয়। সূত্র : ডয়চে ভেলে