মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গোয় আবারও শনাক্ত হয়েছে প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগী। গত সপ্তাহে পূর্বাঞ্চলীয় বুটেম্বো শহরের কাছে এক নারীর শরীরে এটি শনাক্ত করা হয়। গত ১ ফেব্রুয়ারী ইবোলা শনাক্ত হওয়ার মাত্র দুই দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
রয়টার্স জানায়, ওই নারীর স্বামী আগের এক প্রাদুর্ভাবের সময় ইবোলায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
তবে এবারের সংক্রমণ থেকে ইতোমধ্যে নতুন প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়।গত রবিবার কঙ্গোর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রাদেশিক রেসপন্স টিম ইতোমধ্যে কঠোরভাবে কাজ করছে। তাদের সাহায্য করবে জাতীয় রেসপন্স টিম, যা শিগগিরই বুটেম্বো যাবে।
কঙ্গোয় ইবোলা নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, মৃত নারীর সংস্পর্শে আসা অন্তত ৭০ জনকে চিহ্নিত করেছে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
ডব্লিউএইচও বলেছে, বড় আকারে প্রাদুর্ভাবের পরে বিক্ষিপ্ত সংক্রমণ থাকা অস্বাভাবিক নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ইবোলায় মৃত্যুহার সাধারণত ৫০ শতাংশের কাছাকাছি, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি ৯০ শতাংশ পর্যন্ত প্রাণঘাতী হতে পারে।
বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন সেনাপ্রধান
পানির নীচে পৃথিবীর অষ্টম মহাদেশের খোঁজে
ডিজে নেহার খদ্দেরের তালিকায় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীরা!
অবশ্য আশার কথা, বিশ্বে ইতোমধ্যে ইবোলারোধী টিকা রয়েছে। আর এই ভাইরাসটি করোনার মতো উপসর্গহীন রোগীদের মাধ্যমে ছড়ায় না।
কঙ্গোর নিরক্ষীয় বনাঞ্চলগুলো ইবোলা ভাইরাসের আবাসস্থল। করোনার মতো এটিও প্রাথমিকভাবে বাদুড়ের শরীরে থাকে বলে ধারণা করা হয়।
news24bd.tv / নকিব