কাজের চাপে  ঘাড় ও পিঠে ব্যথা হলে যা করবেন

কাজের চাপে ঘাড় ও পিঠে ব্যথা হলে যা করবেন

অনলাইন ডেস্ক

দীর্ঘক্ষণ অফিসে বসে বসে কাজ করতে হয়? নাকি সারাদিন নানা জায়গায় ঘুরে ঘুরে বা সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়? দৈনন্দিন বাড়তে থাকা কাজের চাপের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঘাড়, কোমড় আর পিঠের ব্যথা! সমস্যা যতই হোক না কেন, চট করে কাজের ধরন বদলে ফেলা কখনওই সম্ভব নয়। তবে কাজের চাপে বাড়তে থাকা ঘাড়, কোমর আর পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের জীবনযাত্রায় কতগুলি পরিবর্তন আনা জরুরি। পরিবর্তন আনা জরুরি আমাদের হাঁটা-চলা বা বসার অভ্যাসেরও। আসুন জেনে নেওয়া যাক কাজের চাপ সামলে ঘাড়, কোমর আর পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায়...

১. যদি দীর্ঘক্ষণ আপনাকে অফিসে বসে কাজ করতে হয়, তাহলে মাঝেমধ্যে কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নিন, হাঁটাচলা করুন।

চিকিৎসকেরা বলেন, দুই ঘণ্টা একটানা বসে থাকলে শরীরের ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। সেইসঙ্গে শরীরের ফ্যাট ঝরানোর উৎসেচকের ক্ষরণ প্রায় ৯০ শতাংশ কমে যায়। চার ঘণ্টা একটানা বসে থাকলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায়। তাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকলে শুধু ঘাড়ে, কোমরে বা পিঠের ব্যথাই বাড়বে না, বাড়বে ডায়াবেটিস বা হার্টের সমস্যাও।

২. অনেকে ভুল ভঙ্গিমায় বসেন বা দাঁড়ান। ফলে ঘাড় বা পিঠে ব্যথা হয়। তাই বসা, দাঁড়ানো বা শোওয়ার সময় ভঙ্গি সতর্কভাবে খেয়াল রাখুন।


আমার বয়ফ্রেন্ড নিয়ে আমিও মজায় আছি : নাসিরের সাবেক প্রেমিকা

সুশান্তের দেখানো পথে তারই সহ-অভিনেতার আত্মহনন!

আমার বিচ্ছেদ নিয়ে এত আগ্রহ কেন আপনাদের : শবনম ফারিয়া

এআরও পদে নিয়োগ দেবে ব্যাংক এশিয়া


 

৩. বেড়াতে যাওয়ার সময় বা কাজে বেরোনোর আগে আমরা অনেকেই পিঠে ভারী ব্যাকপ্যাক নিই। বেশি ওজনের ব্যাগ দীর্ঘক্ষণ ধরে বইতে হলে দুই কাঁধে সমান ভার না পড়লে কাঁধ বা পিঠে ব্যথা হয়। তাই ব্যাগ এমনভাবেই নিতে হবে, যাতে দুই কাঁধে সমান চাপ পড়ে।

৪. ফ্রোজেন শোল্ডার বা স্টিফ জয়েন্টের সমস্যায় সার্ভিক্যাল কলার বা ব্যাক ব্রেস পরলে সাময়িক আরাম পাওয়া যায় ঠিকই, তবে এই অভ্যাস দীর্ঘমেয়াদি হলেই বিপদ। কারণ, চিকিৎসকদের মতে, তেমন কোনো চোট বা আঘাত না থাকলে সার্ভিক্যাল কলার বা ব্যাক ব্রেসের ওপর নির্ভর না করাই ভালো। এর থেকে ফিজিওথেরাপিস্টদের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম মেনে কসরত করাই ভালো।

৫. শোওয়ার সময় বালিশের উচ্চতা সঠিক না হলে বা বালিশ খুব শক্ত বা খুব নরম হলে ঘাড়-পিঠে ব্যথা হতে পারে। বালিশের উচ্চতা এমন হওয়া উচিত, যাতে কাঁধ আর ঘাড় না বেঁকিয়ে পিঠ মোটামুটি সোজা বা সমান্তরাল রেখে শোওয়া যায়। এসব সাধারণ কিছু উপায় মেনে চললে ঘাড়-পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
সূত্র-জিনিউজ।

news24bd.tv/আলী