বেনাপোল-পেট্রাপোলে এ বছর হচ্ছে না মাতৃভাষার অনুষ্ঠান

বেনাপোল-পেট্রাপোলে এ বছর হচ্ছে না মাতৃভাষার অনুষ্ঠান

Other

প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের কারণে এবার হচ্ছে না যশোরের পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান। প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি চেকপোস্টের জিরো পয়েন্টে সীমান্ত গেট এঅনুষ্ঠানের জন্য খোলা হলেও এবার সেটি আর হচ্ছে না।

জানা যায়, ২০০২ সাল থেকে বেনাপোল চেকপোস্টের জিরো পয়েন্টে ২১ ফেব্রুয়ারি গেট খুলে দেয়ার প্রথা চালু হয়। পরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বাংলাদেশের যশোর-১ আসনের সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিনে উদ্যোগে গঙ্গা-পদ্মা মৈত্রী সমিতি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে আসছে।

ফলে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রতিবারই বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে বসে দুই বাংলার মানুষের মিলন মেলা।  

ভৌগোলিক সীমারেখা ভুলে কেবলমাত্র ভাষার টানে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া উপেক্ষা করে দলে দলে যোগ দেন একুশের মিলন মেলায়। ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেয় এ অনুষ্ঠানে। এ সময় পেট্রাপোল ও বেনাপোল চেকপোস্টে ঢল নামে হাজার হাজার মানুষের।

ক্ষণিকের জন্য হলেও আন্তর্জাতিক সীমান্ত রেখায় ছেদ পড়ে। কিন্তু এবারের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এই দৃশ্য আর দেখা যাবে না।


সৌদিতে আটক ইয়েমেনি তেলবাহী জাহাজ মুক্ত করতে আহ্বান

নরওয়েতে বোমারু বিমান পাঠানোয় ওয়াশিংটনকে মস্কোর হুঁশিয়ারি

অতিমারীর পর থেকে আমি আর সিরিয়াল কিসার নই: ইমরান হাশমী

খাশোগি হত্যা: গোয়েন্দা তথ্য প্রকাশ করতে যাচ্ছে আমেরিকা


এ ব্যাপারে দুই বাংলার একুশ উদযাপন কমিটির বেনাপোলের আহবায়ক উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘করোনার কারণে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে উভয় দেশের আয়োজকরা আলোচনা করে এবার বেনাপোলের নোম্যান্সল্যান্ডে একুশের মিলন মেলা হচ্ছে না। তবে পেট্রাপোলে ছোট একটি অনুষ্ঠান হবে। সেখানে বাংলাদেশের কয়েকজনকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে আগামী বছর থেকে পুনরায় অনুষ্ঠান করা হবে। ’

news24bd.tv / কামরুল