দশ বছরে কাতারে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি প্রবাসীর মৃত্যু

দশ বছরে কাতারে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি প্রবাসীর মৃত্যু

Other

গেল দশ বছরে কাতারে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি প্রবাসী কর্মীর মৃত্যু হয়েছে, এরমধ্যে এক হাজারের বেশি বাংলাদেশি। এমন ভয়াবহ তালিকা প্রকাশ করেছে বৃটিশ গণমাধ্যম দি গার্ডিয়ান জানায়, কাতারে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজনে স্টেডিয়াম ও স্থাপনা নির্মাণ করতে গিয়েই বেশির ভাগ প্রাণহানি। শ্রমিকের ঘাম ঝরে তৈরি বিশাল সব ইমারত। কিন্তু সেই শ্রমিকের রক্ত পানি করা শ্রমের ন্যায্য দাবি কি মেটানো হয় সব সময়? এই প্রশ্ন অনেকের।

২০২২ সালে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক দেশ কাতার। এজন্য ২০১০ সাল থেকে কাজ শুরু হয় স্টেডিয়াম ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের। মোট ১২টি স্টেডিয়ামে খেলা অনুষ্ঠিত হবে যার মধ্যে ৯টি স্টেডিয়াম নতুন করে তৈরি হচ্ছে এবং ৩টি স্টেডিয়াম সংস্কার হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে কাতারকে ঢেলে সাজানোর জন্য স্টেডিয়ামের পাশাপাশি খেলোয়াড়দের থাকার জায়গা, বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরা তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার।

আরও পড়ুন:


প্রতিদিন নতুন নারী লাগত তার, পরতেন ত্রিশ দিনে ৩০ সানগ্লাস

১৭ বছরের কিশোরীর পেটে ৪৮ সেন্টিমিটার লম্বা চুলের দলা

ছোট ভাই মাকে বলল,‘আপুকে পেছনের রুমে নিয়ে গেছে এক ভাইয়া

স্ত্রীকে সৌদি পাঠিয়ে ৮ বছরের মেয়েকে নিয়মিত ধর্ষণ করে বাবা


বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং আকর্ষণীয় স্টেডিয়াম তৈরি করতে সেখানে কাজ করছেন কয়েক লাখ শ্রমিক। যাদের অধিকাংশই বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল থেকে যাওয়া কর্মী। কিন্তু এরইমধ্যে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন দাবি তুলেছে, এ শ্রমিকদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক শ্রম আইন মানা হচ্ছে না। অত্যন্ত মানবেতর জীবন-যাপনে অনেকেই ঢলে পড়ছেন মৃত্যুর কোলে। বৃটিশ গণমাধ্যম দি গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার সাড়ে ছয় হাজার প্রবাসী শ্রমিক মারা গেছেন। যার মধ্যে বাংলাদেশের রয়েছেন এক হাজার ১৮ জন।

অনুসন্ধান বলছে, নিয়মিত বেতন না পাওয়া, অস্বাস্থ্যকর খাবার ও বাসস্থান, এমনকি মালিকপক্ষ পাসপোর্ট আটকে রেখে তাদের দেশে ফেরার পথ বন্ধ করে দিচ্ছে কাতার কর্তৃপক্ষ। একেতো পরিবার থেকে বিচ্ছেদ, তার উপর নিদারুণ শারিরীক পরিশ্রম আর মানসিক যন্ত্রণায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন প্রবাসী কর্মীরা।

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর