শেরপুরে ফেরদৌস জাহান ছাত্রী হোস্টেলের নামফলক উন্মোচন

শেরপুরে ফেরদৌস জাহান ছাত্রী হোস্টেলের নামফলক উন্মোচন

Other

শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক প্রয়াত ফেরদৌস জাহানের নামে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রী হোস্টেলের নামকরণ করা হয়েছে।  

আজ বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুরে শহরের মাধবপুরস্থ বিদ্যালয় অঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফেরদৌস জাহান ছাত্রী হোস্টেলের নামফলক উন্মোচন করেন জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব।

ওই সময় তিনি বলেন, শিক্ষকতা পেশা সবচাইতে শ্রদ্ধার ও সম্মানের পেশা। এ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস জাহানের নামে ছাত্রীহোস্টেলটির নামকরণের মাধ্যমে তার স্মৃতি সবার কাছে অম্লান হয়ে থাকবে।


 
এ উপলক্ষে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এ্যানি সুরাইয়া মিলোজের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান ও বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক জীবন কৃষ্ণ বসু।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু তারেকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রতিদিনের চীফ রিপোর্টার মনজুরুল ইসলাম, তার স্ত্রী ও ফেরদৌস জাহানের কন্যা রেশমিন আজাদী জাহানসহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা শেষে প্রয়াত প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস জাহানের রূহের মাগফেরাত কামনায় এক মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।


ছেলের প্রেমিকাকে রাত জেগে পাহারা দিলেন বাবা

পানি পানে আসা কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা ও মাটিচাপা

কালো পোশাকে নতুন এক জয়া

সৌদি যাত্রীর ছোট ব্যাগ থেকে মিলল ৫ কেজি স্বর্ণ


উল্লেখ্য, ফেরদৌস জাহান ১৯৪০ সালের ২০ নভেম্বর টাঙ্গাইলের ইছাপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৫৪ সালে বিন্দুবাসিনী বিদ্যালয় থেকে মেট্রিকুলেশন, ১৯৫৭ সালে এইচএসসি পাস করেন তিনি। ১৯৫৯ সালে টাঙ্গাইলের কুমুদিনী মহিলা কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।

১৯৬১ সালে শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। পরে ১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩৫ বছরের কর্মজীবনে একাধিকবার শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মর্যাদা পেয়েছেন।  

ফেরদৌস জাহান কর্মজীবনে ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে এমএড ডিগ্রী লাভ করেন। অবসর গ্রহণের পর ১৯৯৫-৯৬ সালে রংপুর অঞ্চলের স্কুল পরিদর্শক এবং পরবর্তীতে ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।  

পারিবারিক জীবনে শেরপুরের কৃতি সন্তান ডাঃ এএফএম শাজাহানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। ২ পুত্র ও ৫ কন্যা সন্তানের জননী ছিলেন তিনি। শিক্ষানুরাগী ফেরদৌস জাহান ২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মারা যান।  

news24bd.tv / কামরুল