চার-চারটি সন্তান রয়েছে তাই আর কোনো সন্তান নয়। এমন সিদ্ধান্ত থেকেই সরকারি হাসপাতালে বন্ধ্যাকরণ করেন এক নারী। কিন্তু বিধিবাম। অস্ত্রোপচারের দুই বছরের মাথায় গর্ভবতী হয়ে পড়েন তিনি।
এমন ঘটনায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে ৩০ বছরের ওই নারীর। হতবাক দিনমজুর স্বামীও।ভারতের বিহার রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটেছে। নারীর নাম ফুলকুমারী।
অস্ত্রোপচারের পরেও গর্ভবতী হওয়ায় ফুলকুমারী রাজ্য সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের আবেদন করেছেন।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে মতিপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিউবেকটমি অপারেশন করিয়ে নেন ফুলকুমারী।
সরকারি এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে ডা. সুধীর কুমার নামের একজন চিকিৎসক এই অপারেশনটি করেছিলেন। এই দম্পতির অভিযোগ তারা এরই মধ্যে দুইবার যোগাযোগ করেছে ডা. সুধীরের সঙ্গে। কিন্তু তিনি তাদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেছেন।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. হরেন্দ্রকুমার অলোক অবশ্য বলছেন, কখনও কখনও এ ধরনের অপারেশন ব্যর্থ হতে পারে। তবে আপাতত বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এ ধরনের ঘটনায় রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণ দেয়।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ৩০ হাজার রুপি পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। পাশাপাশি সন্তানের প্রসব ও এ সংক্রান্ত ওষুধপত্রের যাবতীয় খরচও বহন করে রাজ্য সরকারই। এজন্য অবশ্য রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরে আবেদন করতে হবে।
কিন্তু এত অল্প টাকায় সন্তুষ্ট থাকতে পারছে না দরিদ্র এই দম্পতি।
মিয়ানমারে ফের পুলিশের গুলিতে নিহত ৫
চাঁদে মহাকাশ স্টেশন তৈরি করবে চীন ও রাশিয়া
ভিডিও এডিট করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ফুলকুমারীর স্বামী বলেন, আমাদের তিন মেয়ে ও এক ছেলে। আমাদের পক্ষে আরেকটি সন্তানের খরচ চালানো সম্ভব নয়। তাই বন্ধ্যাকরণ করেছিলাম। কিন্তু কয়েকদিন আগে আমার স্ত্রী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। এখন আমরা কি করবো বুঝতে পারছি না। অভাবের সংসারে আরেকজন মানে-'বোঝার ওপর শাকের আঁটি' অবস্থা। এ কারণেই আমার স্ত্রী ক্রেতা সুরক্ষা বিভাগে গিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে ১১ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণের আবেদন করেছে।
news24bd.tv নাজিম