গলা টিপে সন্তানকে হত্যার পর স্ত্রীকেও হত্যা

আল আমিন

গলা টিপে সন্তানকে হত্যার পর স্ত্রীকেও হত্যা

অনলাইন ডেস্ক

আল আমিন (২৮) আট বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেন শেফালী বেগমকে। মাদকসেবী আমিন বিয়ের পর থেকেই পরিবারের ভরণ পোষন দিতেন না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। স্ত্রী শেফালী তার অসুস্থ ছয় বছরের শিশু রুমানাকে চিকিৎসা দিতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে পার্শ্ববর্তী ধারাবর্ষা চরে সাত্তার মেম্বরের গুচ্ছগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

কিন্তু স্বামী আল আমিন যমুনার চরে ভুট্টাক্ষেতে প্রথম গলা টিপে মেয়েকে ও পরে স্ত্রীকে ওড়নার ফাঁস দিয়ে হত্যা করে।  

আল আমিন যমুনার চরে ভুট্টাক্ষেতে প্রথম গলা টিপে মেয়েকে ও পরে স্ত্রীকে ওড়নার ফাঁস দিয়ে হত্যা করে বলে স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়। সারিয়াকান্দি থানার ওসি মিজানুর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পাঁচ দিনের রিমান্ডের চতুর্থ দিন বৃহস্পতিবার রাতে সে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুকের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।  

পুলিশ জানায়, বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার বোহাইল ইউনিয়নের শংকরপুর চরের আল আমিন প্রায় আট বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে শেফালী বেগমকে বিয়ে করে। তাদের সংসারে ছয় বছর বয়সী শিশু রুমানা খাতুন ছিল। আল-আমিন চরে মোটরবাইকে যাত্রী পরিবহণ করে জীবিকা নির্বাহ করত।   তবে সে তার আয়ের কোন অংশ সংসারে দিত না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। শেফালী অসুস্থ মেয়ে রুমানাকে চিকিৎসা দিতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে বাড়ি থেকে বের হয়। এ সময় সে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।  

গ্রামের একটি ভুট্টাক্ষেতে পৌঁছালে আল আমিন তাদের পথরোধ করে। এক পর্যায়ে সে মেয়ে রুমানাকে ছিনিয়ে নিয়ে গলা টিপে হত্যা করেন। তখন শেফালী চিৎকার করে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধাওয়া করে ধরা হয়। এরপর ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে তাকেও হত্যা করা হয়। হত্যার পর আল আমিন লাশ ফেলে বাড়িতে চলে আসে।  


দশ বছর আগে যা ঘটেছে তার জন্য আমি দায়ী নই : প্রভা

‘চুম্বন বা অন্তরঙ্গ দৃশ্যয়নের আগে একান্তে সময় কাটাই’

ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করলো ভাসুর!

চুম্বনের দৃশ্যের আগে ফালতু কথা বলতো ইমরান : বিদ্যা


সে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে মেয়ে ও স্ত্রীকে খুঁজতে যায়। ওইদিন রাতে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে। পরদিন শেফালীর বাবা ওসমান মন্ডল সারিয়াকান্দি থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।  

সারিয়াকান্দি থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, প্রাথমিক তদন্তে এ জোড়া খুনের সঙ্গে উগ্র মেজাজ ও মাদকসেবী আল আমিনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। গত ২০ মার্চ বগুড়া শহরের সাবগ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। হত্যার দায় স্বীকার না করায় পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।  

জিজ্ঞাসাবাদের চতুর্থদিন বৃহস্পতিবার তিনি (আল আমিন) স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করে।  

news24bd.tv/আলী