শিল্পী মিতা হকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

শিল্পী মিতা হকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

অনলাইন ডেস্ক

দেশের জনপ্রিয় বরেণ্য রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১১ এপ্রিল) পৃথক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এই শোক প্রকাশ করেন।

শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশে রবীন্দ্র চর্চা এবং রবীন্দ্র সংগীতকে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তার প্রচেষ্টা মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

রাষ্ট্রপতি মরহুমা মিতা হকের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

অপর এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এছাড়া দেশ বরেণ্য এই সংগীত শিল্পীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের৷

এর আগে রোববার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী মিতা হক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।

মিতা হকের জামাতা অভিনেতা মোস্তাফিজ শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, মিতা হক সকাল ৬.২০ এ চলে গেলেন।

চলেই গেলেন। সবাই ভালোবাসা আর প্রার্থনায় রাখবেন।

মিতা হকের ননদাই শিল্পী সোহরাব উদ্দিন জানান, গত ২৫ মার্চ মিতা হকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এ কয়েকদিন তিনি বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন। গত ৩১ মার্চ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসার পর করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে। পরে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি কিডনির রোগী হওয়ার কারণে তা‌কে ডায়লাইসিস করতে হতো।

আরও পড়ুন


এলপিজি শিল্প: ৩২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র

এবারও বড় বাজেটের ঘোষণায় কাজ করছেন অর্থমন্ত্রী

টিকার কার্যকারীতা নিয়ে যা বললেন ড. বিজন কুমার শীল

বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল, রাজধানীর দুই এলাকায় সংক্রমণ হার বেশি


শনিবার ডায়লাইসিসের সময় তার প্রেশার ফল করে। এরপর তাকে বাসায় নেওয়ার পরও প্রেশার ফল করে। সে সময় হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা জানান, মিতা হক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। অবস্থার অবনতি দেখে মিতা হককে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। কিন্তু তবুও শেষ রক্ষা হলো না। সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন তিনি।

মিতা হকের জন্ম ১৯৬২ সালে। তিনি বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শিল্পী। সঙ্গীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে।

তিনি সুরতীর্থ নামে একটি সঙ্গীত প্রশিক্ষণ দল গঠন করেন যেখানে তিনি পরিচালক ও প্রশিক্ষকে হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়া তিনি ছায়ানটের রবীন্দ্রসঙ্গীত বিভাগের প্রধান ছিলেন।

news24bd.tv আহমেদ