লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্তরা খাবার না পেলে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি  হবে : ডা. জাফরুল্লাহ

লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্তরা খাবার না পেলে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হবে : ডা. জাফরুল্লাহ

অনলাইন ডেস্ক

এক সপ্তাহের লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্তরা খাবার না পেলে, স্বাস্থ্যসেবা না পেলে জনগণ ট্যাক্স দেওয়া বন্ধ করে দেবে। তখন দেশে অরাজকতা সৃষ্টি  হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘লকডাউনে মানুষের হাহাকার বন্ধে ঘরে ঘরে খাদ্য পৌঁছাও’ শীর্ষক নাগরিক প্রতীকী অবস্থান থেকে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন,  এক সপ্তাহের মধ্যে লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িতে বাড়িতে খাবার পৌঁছে না দিলে, সবার চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত না করলে বিদ্রোহ শুরু হবে। তিনি সরকারকে করোনা মোকাবিলায় সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, করোনায় বাংলাদেশে নতুন করে সোয়া দুই কোটি মানুষ দরিদ্র হয়েছেন বলে খবরে এসেছে। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাড়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে জনগণের সঙ্গে মশকরা করেছেন।
এসময় আগামী সোমবার থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্যোগে ঢাকা শহরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনার চিকিৎসা দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না  বলেন, সাড়ে ১০ কোটি টাকার ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রীর লজ্জা করা উচিত।

গত বছর ৫০ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে দেবার কথা ছিল। তার বেশির ভাগই প্রকৃত ভুক্তভোগীদের কাছে পৌঁছেনি।

সরকারের চলমান দমন-পীড়নের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যারা দিনের ভোট রাতে করেন, তাদের আবার কীসের ইমোশন, কিসের মূল্যবোধ?

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গণসংহতি আন্দোলনের সদস্য জুলহাসনাইন বাবু। আরও বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, সাদেক খান, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, গোলাম মাওলা চৌধুরী, নৃবিজ্ঞানী রেহনুমা আহমেদ, অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য রাখাল রাহা, গণফোরামের মুস্তাক আহমেদ প্রমুখ।

news24bd.tv/আলী