চন্দ্রাভিযানের সাফল্যে কোনোদিনই তার দক্ষতাকে গুরুত্ব দেননি কলিন্স। ২০০৯ সালে দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষৎকারে তিনি বলেছিলেন, 'আমি ও আমার দুই সহ-অভিযাত্রী সকলেই কঠিন পেশা বেছে নিয়েছিলাম। আর তাতে সফলও হয়েছি। তবে আমার ক্ষেত্রে অন্তত বলতে পারি যে মাত্র ১০% পরিকল্পনামাফিক করেছি।
বাকি ৯০% পুরোটাই ভাগ্য। আমার কবরে যেন 'লাকি' শব্দটা খোদাই করা থাকে!'অ্যাপোলো ১১ চন্দ্রাভিযানের নভোচারী মাইকেল কলিন্স ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘদিন লড়াইয়ের পর বুধবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
প্রায় ৫২ বছর আগে প্রথম চন্দ্রাভিযানের তিন সদস্যের মধ্যে একজন ছিলেন মাইকেল কলিন্স।
চাঁদের কক্ষপথে প্রদক্ষিণকালে হঠাৎ তার সহ-অভিযাত্রী এমনকি, নাসার কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেন তিনি। যদিও নির্দিষ্ট সময়েই আবার যোগাযোগ স্থাপিত হয়। নির্বিঘ্নে পৃথিবীতে ফিরে আসেন তারা।
চন্দ্র অভিযানের পর আর্মস্ট্রং আর অলড্রিনের সঙ্গে বিশ্ব সফরে বেরিয়েছিলেন কলিন্স। এই সফরের অংশ হিসেবে ১৯৬৯ সালে ২৭ অক্টোবর ঢাকায় পা রেখেছিলেন কলিন্স, অলড্রিন ও আর্মস্ট্রং। তাদের এক নজর দেখতে লাখো মানুষ ভিড় জমিয়েছিল ঢাকার রাজপথে।
চন্দ্রাভিযানের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর সদস্য ছিলেন কলিন্স। মোট দু'বার চেষ্টার পর নাসায় নভোচারী হিসাবে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তিনি বিমান বাহিনীতে দক্ষ পাইলট হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
লেখক : হারুন আল নাসিফ : কবি, ছড়াকার, সাংবাদিক।
news24bd.tv/আলী