পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার দাশেরকাঠি গ্রামের খাল থেকে মুক্তা আক্তার (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মুক্তা আক্তার উপজেলার দাশেরকাঠি গ্রামের হিরু মহাজনের মেয়ে। সে স্থানীয় দাশেরকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
আটক সোহেল মহাজনের (৩৩) বাড়িও একই এলাকায়।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে ঝড় শুরু হলে মুক্তা বাড়ির পাশের বাগানে আম কুড়াতে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। রাত ১০টার দিকে বাড়ির পাশের দাশেরকাঠি খালে একটি লাশ ভাসতে দেখে লোকজন।
পরে লাশটি মুক্তা আক্তারের বলে শনাক্ত করা হয়। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রাতেই মুক্তার মা শানু বেগম বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় দু’জনকে আসামি করা হয়।
মুক্তার বাবা হিরু মহাজন জানান, প্রতিবেশী পারভেজ মহাজন তার মেয়েকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। পারভেজ ও তার ভাই সোহেল মুক্তাকে হত্যা করে খালে লাশ ফেলে দিয়েছে বলে তার সন্দেহ।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, মুক্তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য আজ সকালে মুক্তার লাশ পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। মুক্তার মায়ের লিখিত অভিযোগ হত্যা মামলা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামি সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামি পারভেজ পলাতক রয়েছেন।
অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর