বুশকে জুতো ছোড়া সাংবাদিক নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন

বুশকে জুতো ছোড়া সাংবাদিক নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

১০ বছর আগে বাগদাদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের দিকে জুতো ছুড়ে মেরেছিলেন সাংবাদিক মুনতাদের আল-জায়েদি। তিনি এখন পার্লামেন্টের সদস্য হওয়ার জন্য ভোটে দাঁড়াচ্ছেন।

মুনতাদের আল-জায়েদি আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে শিয়া নেতা মোক্তাদা আল-সদরের জোটের সমর্থক একজন প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন। খবর বিবিসির

২০১৮ সালে - মার্কিন সেনা অভিযানের সাদ্দাম হোসেনের পতনের পাঁচ বছর পর - বাগদাদ সফরে এসে তৎকালীন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী নূরী আল-মালিকিকে সঙ্গে নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ।

আর তাতে আল-বাগদাদিয়া টিভির সাংবাদিক হিসেবে তাতে উপস্থিত ছিলেন জায়দী

তিনি হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে জর্জ বুশকে ‌‘কুকুর’ বলে সম্বোধন করে তাকে লক্ষ্য করে তার দুপাটি জুতো ছুড়ে মারেন।

তিনি বলছিলেন, দুটি জুতোর একটি হচ্ছে ইরাকি জনগণের বিদায়ী চুম্বন, আর অপরটি মার্কিন অভিযানে নিহতদের স্ত্রী-সন্তানদের পক্ষ থেকে।

দুটোর কোনটাই মার্কিন প্রেসিডেন্টের গায়ে লাগেনি, তবে জুতো ছুড়ে মারাটা আরবের সংস্কৃতিতে গুরুতর অপমানসূচক বলে মানা হয়।

এ ঘটনা মুনতাদের আল-জায়েদিকে রাতারাতি আরব বিশ্বে একজন ‘হিরো’ বা নায়কোচিত ব্যক্তিতে পরিণত করে।

প্রেসিডেন্ট বুশ বলেছিলেন, তিনি এতে রাগ করেননি বরং আমোদ পেয়েছেন। ‘আমি প্রেসিডেন্ট হিসেবে বহু বিচিত্র ঘটনা দেখেছি, তবে সবচেয়ে আজব ঘটনা ছিল এটাই। ’

দেহরক্ষীরা সঙ্গে সঙ্গে আল-জায়েদিকে আটক করে। পরে একজন বিদেশী নেতাকে আক্রমণ করার অভিযোগে তাকে ১২ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

তিনি নয় মাস জেল খাটার পর বেরিয়ে আসেন। অভিযোগ করেন যে বন্দী অবস্থায় তার ওপর কারারক্ষী ও কর্মকর্তারা অত্যাচার করেছে। তিনি বলেন - তার ভাঙা দাঁত, হাড় এবং অন্যান্য আঘাতের জন্য চিকিৎসা দরকার।

জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আল-জায়েদি সাংবাদিকতা ছেড়ে দিয়ে ইউরোপে চলে যান। সেখানে তিনি ইরাক যুদ্ধের শিকারদের জন্য একটি মানবিক প্রতিষ্ঠান খোলেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর