করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের আকার ধারণ করেছে। গ্রামেগঞ্জে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমণ শনাক্ত ও মৃত্যু হার অনেক বেড়েছে যা আশঙ্কাজনক। এই ভয়ঙ্কর বিপর্যয় মোকাবেলায় কোন কালবিলম্ব না করে অতি দ্রুত স্থানীয় পর্যায়ে উদ্যেমী যুবক ও তরুণদের সমন্বয়ে ‘ভলান্টিয়ার বাহিনী’ গড়ে তুলতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আসম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতির মাধ্যমে তারা এসব কথা জানান।
বিবৃতিতে তারা জানায়,অনেক ক্ষেত্রেই লোকজন করোনা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হচ্ছেন কিন্তু সকলকে চিকিৎসার আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। এতে সামাজিক পর্যায়ে ঘাতক করোনার অবাধ বিস্তার ঘটছে। এ বিস্তার অব্যাহত থাকলে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।
এ ধরণের বৈশ্বিক মহামারী এবং বাংলাদেশের বাস্তবতায় জনগণের অন্তর্ভুক্তি এবং কার্যকর অংশগ্রহণ ছাড়া করোনা মোকাবেলা করা সম্ভব হবে না। সুতরাং এ ভয়াবহ মহামারী মোকাবেলায় সকল সংশ্লিষ্ট অংশিজনের সহযোগিতায় স্থানীয় সরকারের নেতৃত্বে "ভলান্টিয়ার বাহিনী" গঠন করতে হবে। । এ ধরনের "ভলান্টিয়ার বাহিনী" গঠনের মাধ্যমে সমগ্র জাতির মধ্যে মমত্ববোধ জাগ্রত হবে এবং বিপর্যয় মোকাবেলায় এ বাহিনী সমগ্র জাতিকে প্রেরণা যোগাবে।
করোনার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি এবং ৩য় বা ৪র্থ ঢেউ মেকাবেলায় অবিলম্বে ৬ দফার ভিত্তিতে “ভলান্টিয়ার বাহিনী” গঠন করার আহ্বান জানিয়ে তারা ভলান্টিয়ার বাহিনী গঠন সম্পর্কিত ৬ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন..
৬ দফা প্রস্তাবনা হলো
স্থানীয় সরকারের অধীনে প্রতি এলাকা ও অঞ্চলের জন্য সুনির্দিষ্ট সংখ্যক ”ভলান্টিয়ার“ নিয়োগ করতে হবে।
ভলান্টিয়ারদের দ্রুত সংক্ষিপ্ত ওরিয়েন্টেশন এবং ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
ভলান্টিয়ারগণ করোনা নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসা ও টিকাপ্রদানসহ জনগণের চাহিদায় সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা প্রদানে সচেষ্ট হবেন।
গণসচেতনতা, প্রচার-প্রচারণা সহ যাবতীয় তথ্য উপাত্ত ভলান্টিয়ার বাহিনী জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেবেন।
ভলান্টিয়ারগণ কর্মহীন, দরিদ্র ও অসহায় নিরন্ন মানুষদের খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করবেন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি ও বিভিন্ন অংশিজনের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সরকার “ভলান্টিয়ার বাহিনী”র কর্মপদ্ধতি চূড়ান্ত করবে।
news24bd.tv/আলী
