করোনার কারণে বন্যা প্রবণ কুড়িগ্রামের নদী তীরবর্তী মানুষ এবছর বন্যা মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিতে পারছে না। লকডাউনের ফলে শ্রমজীবী মানুষের নেই কাজ, জমানো অর্থও।
যার কারণে নিজেদেরকে সঁপে দিতে হয়েছে ভাগ্যের ওপর। যদিও জেলা প্রশাসন বলছে বন্যা মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি তাদের রয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলায় রয়েছে ৩১৬কিলোমিটার নদী পথ। প্রতি বছর ভারী বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ী ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যায় প্রায় ৪/৫ লাখ মানুষ পরে চরম দুর্ভোগে। এছাড়াও রয়েছে আগ্রাসী নদী ভাঙন। ফলে নদী তীরবর্তী মানুষের দুর্দশা যেন সারা জীবনের।
প্রতিবছর বন্যার পূর্বে আগাম প্রস্ততি নেয় স্থানীয়রা। ঘরবাড়ী মজবুত করে। আলগা চুলা, ঔষধপত্র, শুকনো খাবার ও জ¦ালানী সংগ্রহ করে। পর্যাপ্ত চাল-ডাল রাখে ঘরে।
কিন্তু এবার করোনা আর লকডাউনের কারণে বেশিরভাগ নিম্ন আয়ের মানুষকে ঘরে বন্দি থাকতে হচ্ছে। কাজ না থাকায় উপার্জনও কমে গেছে। এতে আগাম প্রস্তুতির কাজে হাত দিতে পারেন নি অনেকে।
যদিও বন্যার প্রস্তুতি বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিক নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দল প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি সরকারি সহায়তা পৌঁছে দেয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।
বন্যা মোকাবেলায় পর্যাপ্ত নৌকা ও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও বন্যা কবলিতদের জন্য পর্যাপ্ত চাল, নগদ অর্থ উপজেলা পর্যায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক।
কুড়িগ্রামে রয়েছে ১৬টি নদ-নদী। প্রতিবছর পাহাড়ী ঢল আর নদীর পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে বন্যার সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন:
করোনায় ঝালকাঠির আদালতের বিচারকের মৃত্যু!
আগস্ট মাসের দুই দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক
বিভিন্ন জেলায় করোনায় প্রায় দেড় শতাধিক মৃত্যুর
সিলেট বিভাগে করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যু নতুন রেকর্ড
news24bd.tv / কামরুল