স্ত্রীর সহায়তায় কিশোরীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ

স্ত্রীর সহায়তায় কিশোরীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ

অনলাইন ডেস্ক

ময়মনসিংহে এক রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টানা কয়েক মাস ধর্ষণ করা হয় ওই কিশোরীকে (১৩)।

অভিযুক্ত ব্যক্তি ময়মনসিংহ নগরীর কৃষ্টপুর এলাকার বাসিন্দা হোসেন আলী (৫০) । তিনি জাতীয় পার্টির সহযোগী সংগঠন জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির ময়মনসিংহ জেলা সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত তামান্না হোসেনের তৃতীয় স্ত্রী।

বিষয়টি র‌্যাব-১৪ কার্যালয়ে জানানো হলে গতকাল রোববার রাতে অভিযুক্ত হোসেন আলীকে (৫০) গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে মামলা শেষে সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

জানা গেছে, হোসেন আলীর বাসার পাশেই ভাড়া বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন ওই কিশোরী।

কাছাকাছি বাসা হওয়ায় হোসেন আলীর পরিবারের সঙ্গে কিশোরীর পরিবারের সখ্যতা গড়ে ওঠে। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি কিশোরীকে বাসায় ডেকে নেন হোসেনের স্ত্রী তামান্না আক্তার। বাসায় নেওয়ার পর শরবতের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে দেন। এতে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে কিশোরীকে ধর্ষণ ও তা ভিডিও ধারণ করেন।

এরপর ধারণ করা ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয় কিশোরীকে। হোসেনের কথা না শুনলে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়া হয়।

স্ত্রী তামান্নার সহায়তায়  এরপর টানা কয়েক মাস মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন হোসেন।   এক পর্যায়ে বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে তারা বাসা পরিবর্তন করে নগরীর অন্য একটি এলাকায় চলে যান। সেখানেও লোকজন নিয়ে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন হোসেন। পরে র‌্যাবকে জানানো হলে গতকাল রোববার রাতে হোসেনকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করে র‍্যাব-১৪।


আরও পড়ুন

কুকুরের জন্য বিমানের কেবিন

শরীরের বাইরে শিশুর হৃদপিণ্ড, ব্যয়বহুল বলে হচ্ছে না চিকিৎসা

স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজির বিরুদ্ধে চার্জশিট

নুসরাতকে সাবেক স্বামীর আইনি নোটিশ


ধর্ষণের ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে ওই দিন রাতেই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে হোসেন ও তার তৃতীয় স্ত্রীকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ হোসেনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। অন্যদিকে কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষা ও আদালতে জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।

news24bd.tv/এমি-জান্নাত