সরকারি গুদামে সরাসরি ধান বিক্রি করতে পারছেন না যশোরের প্রান্তিক চাষিরা

সরকারি গুদামে সরাসরি ধান বিক্রি করতে পারছেন না যশোরের প্রান্তিক চাষিরা

সরকারি গুদামে সরাসরি ধান বিক্রি করতে পারছেন না যশোরের প্রান্তিক চাষিরা

রিপন হোসেন, যশোর

সরকারি গুদামে সরাসরি ধান বিক্রির সুযোগ না থাকায় ধানের ন্যায্যমূল্যে থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন যশোরের প্রান্তিক চাষিরা। খাদ্য গুদামগুলো ঘোষণা অনুযায়ী সরকার অনুমোদিত মিলারদের কাছ থেকে ৩৮ টাকা দরে চাল কেনায় এবার কৃষকদের কাছ থেকে ধান নেয়া হচ্ছে না। ফলে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে এ অঞ্চলের কৃষকরা সরাসরি অংশগ্রহন করতে না পারায় তারা চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন।

সারা দেশের ন্যায় গত ২ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত যশোরাঞ্চলে শুরু হয়েছে সরকারি ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান।

অথচ কর্মসূচির প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও এখনও পর্যন্ত জেলার কোথাও কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ করেনি খাদ্য গুদামগুলো।

জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে খাদ্য গুদামগুলোতে গিয়ে দেখা যায় ঘোষণা অনুযায়ী সরকার অনুমোদিত নির্ধারিত মিলারদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ করা হলেও প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে কোন ধান নেয়া হয়নি। ফলে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ করতে না পেরে ধানের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষক।

বর্তমান বাজারে ধানের মনপ্রতি ৬৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৮৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

যা উৎপাদন ব্যায়ের চেয়ে অনেক কম। অথচ সরকার নির্ধারিত মূল্য ২৬ টাকা কেজি দরে প্রতিমন ধান ১০৪০ টাকা বিক্রি করলে অনেক লাভবান হতে পারতেন বলে জানালেন যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের ইকবাল হোসেন।

সরকারিভাবে চাল সংগ্রহের নির্দেশনা থাকলেও ধান সংগ্রহের ব্যাপারে খাদ্য মন্ত্রনালয়ের কোন নির্দেশনা না থাকায় এবছর এ অঞ্চলে কৃষকদের কাছ থেকে ধান নেয়া হচ্ছেনা বলে জানালেন যশোর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা নকীব সাদ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ জেলায় চাউল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ৬শ’ ৫২ মেট্টিকটন। যার মধ্যে ১২শ’ মেট্রেকটন চাউল সংগ্রহ করা হয়েছে।

চলতি বছরে যশোর জেলায় ১ লাখ ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে হওয়ায় এবছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে দাবি করেন সংশ্লিষ্টদের।

 

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কেআই)


    

 

সম্পর্কিত খবর