থামছে না সোশ্যাল মিডিয়ায় নারীবিদ্বেষী মন্তব্য, বিবিসি সাংবাদিকের প্রশ্ন

থামছে না সোশ্যাল মিডিয়ায় নারীবিদ্বেষী মন্তব্য, বিবিসি সাংবাদিকের প্রশ্ন

অনলাইন ডেস্ক

শুধু ঘর কিংবা ঘরের বাইরে নয়, নারীরা অনলাইন বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও নিরাপদ নয়। কিন্তু নারীরা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে কতটা অনিরাপদ তার উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন বিবিসির প্রথম স্পেশালিষ্ট ডিজইনফরমেশন রিপোর্টার মারিয়ানা স্প্রিং।

তিনি বলেন, আমি অনলাইনে প্রতিদিন অসংখ্য গালিগালাজপূর্ণ অবমাননাকর মেসেজ পাই। এগুলো এতোটাই আক্রমণাত্মক যে পরিমার্জন ছাড়া প্রকাশের উপযুক্ত নয়।

কিন্তু কেন? আমার মূলত অনলাইনে ষড়যন্ত্রমূলক ও ভুয়া নিউজ খুঁজে বের করা এবং এর প্রভাব নিয়ে কাজ করি। কাজের অংশ হিসেবে সমালোচনার শিকার হতে হবে এটা জানা কথা, কিন্তু মন্তব্যগুলো খুবই নারীবিদ্বেষী।

প্রতিবেদনে মারিয়ানা বলেন, এটা শুধু আমি নই, বিশ্বজুড়ে রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে রিয়েলিটি-শো লাভ আইল্যান্ডের ডক্টর পর্যন্ত সকলের কাছ থেকেই নারীকে উদ্দেশ্য করে ঘৃণামূলক উক্তি ব্যবহার করতে দেখা যায়। নতুন এক গবেষণায় দেখা যায়, অনলাইনে নারীরা পুরুষের তুলনায় অপেক্ষামূলক বেশি আক্রমণের শিকার হয়।

অনলাইনে নারীদের আক্রমণের শিকার হওয়ার বিষয় পর্যবেক্ষণের জন্য বিবিসির একটি দল পাঁচটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একটি ভুয়া ট্রল অ্যাকাউন্ট তৈরি করে। যেখানে তারা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে একটি গবেষণা চালায়।

এর অংশ হিসেবে ৯০ হাজারের বেশি পোস্ট ও মন্তব্য বিশ্লেষণ করে দলটি দেখতে পায়-

- তাদের ট্রল অ্যাকাউন্টকে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি করে নারী বিরোধী কনটেন্ট সুপারিশ করে। যার মধ্যে কিছু ছিল যৌন সহিংসতা নিয়েও।

- রিয়েলিটি-শো তে নারী প্রতিযোগীরা অসমভাবে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এখানে প্রায়ই তারা নারীবিদ্বেষী ও বর্ণবাদী মন্তব্যের শিকার হয়।

যদিও সোশ্যাল মিডিয়াগুলো বলছে তারা নারীদের বিরুদ্ধে অনলাইনে ঘৃণা ছড়ানোর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়। যারা এগুলোতে নারীবিদ্বেষ ছড়ায় তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা, নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা, এমনকি বন্ধ করে দেয়ার মতো ব্যবস্থা নেয়ার নিয়ম আছে।

আরও পড়ুন:

মেয়াদ-বেতন দুটোই বাড়ছে টাইগার কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর

পরের দুই ম্যাচ জিতলেও মূল পর্ব অনিশ্চিত টাইগারদের

নবীর ভবিষ্যদ্বাণী, বৃষ্টির মতো বিপদ নেমে আসবে

ডেলিভারি বয় থেকে বিশ্বকাপে অঘটনের নায়ক


কিন্তু মারিয়ানা স্প্রিং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানান, তারা প্রায়ই এসবের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না। তিনি বলেন, আমাকে উদ্দেশ্য করে পাঠানো ভয়ংকর খারাপ কিছু বার্তার বিরুদ্ধে আমি রিপোর্ট করি। কিন্তু কয়েক মাস পরেও সেই অ্যাকাউন্টগুলো ফেসবুকেই থেকে যায়।
 
তিনি বলেন, আমার অভিজ্ঞতায় এটি একটি প্যাটার্নের অংশ। সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেট -এর এক নতুন গবেষণায় দেখা গেছে টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে ৩০০টি অ্যাকাউন্টের ৯৭ শতাংশই রিপোর্টের পরেও বন্ধ করা হয়নি।  

তবে টুইটার এবং ইনস্টাগ্রাম বলছে তাদের নিয়ম লঙ্ঘন করলেই পদক্ষেপ নেয়া হয় এবং অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা একমাত্র বিকল্প নয়।

news24bd.tv/ নকিব