রোহিঙ্গাদের পুঁজি করেই ওরা এখন ‘রাজা-বাদশা’

রোহিঙ্গাদের পুঁজি করেই ওরা এখন ‘রাজা-বাদশা’

অনলাইন ডেস্ক

রোহিঙ্গাদের পুঁজি করেই ওরা এখন ‘রাজা-বাদশা’। মাদক এবং চোরাচালানের অর্থে তারা গড়ে তুলেছেন বিশাল সাম্রাজ্য। থাকেন অট্টালিকায়। চড়েন আলিশান গাড়িতে।

স্থানীয়রা বলছেন, রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করেই ওরা হয়ে গেছেন ‘আঙুল ফুলে কলাগাছ’। কিছুদিন আগেও যারা ছিলেন গাড়ির হেলপার, পানের দোকানদার কিংবা ব্যাটারির পানির ব্যবসায়ী তারা আজ অঢেল সম্পদের মালিক। অনেকটা তাদের ইশারাতেই চলে প্রশাসন।  

অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে এরই মধ্যে তাদের অনেকেই বনে গেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যান এবং মেম্বার।

দিনের আলোতে তারা সমাজ সেবক-দানবীর। তবে রাতের আঁধারে ওঠেন ভয়ঙ্কর মানুষ। রোহিঙ্গাদের অপরাধ ওদের কাছে আশীর্বাদের মতো। আবার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কাজ করেন এমন অনেকে বলছেন, অনেক দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সংস্থা নিজেদের স্বার্থে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে স্থায়ী করার জন্য নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।  

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উদাসীনতার কারণে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন হোয়াইট কালার ক্রিমিনালদের অনেকে। বিভিন্ন সময় গ্রেফতার রোহিঙ্গাদের জবানিতে উঠে এসেছে তাদের অপকর্মের খবর। তবে কেবলমাত্র তালিকা করেই ক্ষান্ত তারা। কিছুদিন অভিযান পরিচালনা করলেও রহস্যজনক কারণে তা আবার থেমে যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ফারজানা রহমান বলেন, আসলে মাদক নিয়ন্ত্রণে খুব সিরিয়াসনেস দেখানো হলেও কার্যত তা প্রমাণ করা হয় না। কক্সবাজারে দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থা দায়িত্ব পালন করে। তবে সেখানে কীভাবে মানুষ আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে সে ব্যাপারটিতে কেন জানি রহস্যজনক কারণে দায়িত্বরত সংস্থাগুলো উদাসীন।  

পুলিশ জানিয়েছে, গত কয়েক বছরের মধ্যে ফারুক শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। গত চার বছর আগেও উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ঘিলাতলী গ্রামের বাসিন্দা নাছির উদ্দিন বাদশা ছিলেন পানের দোকানদার। তবে এখন তিনি কোটিপতি। ইয়াবা নামের আলাদিনের চেরাগের স্পর্শে উখিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেছনে ছয়তলা বিলাস বহুল বাড়ি ছাড়াও রয়েছে তার ১০টির অধিক টমটমের শো-রুম। নামে বেনামে একাধিক জমি ছাড়াও রয়েছে কয়েক কোটি টাকার ব্যালান্স। নিয়মিত উঠাবসা করেন স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে।

আরও পড়ুন: 


তেলের দাম বৃদ্ধি, চট্টগ্রামে গণপরিবহন বন্ধ

৭৩-এ শেষ বাংলাদেশ

এবারের পাকিস্তানকে দেখে শোয়েবের ‌‘ভয়’


অনুসন্ধান ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের সিকদার বিলের বাসিন্দা নুর মুহাম্মদ বাদশা। বাবা সৈয়দ নূর মেকার। পাঁচ বছর আগেও ছিলেন বাসের হেলপার। সে সময় তার সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়া-আসা করা অন্য হেলপারদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই হেলপার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা পাচার করে আজ কোটিপতি।  

নুর মোহাম্মদ বাদশা ছিলেন শ্রমিকনেতা। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় তিনি এখন বেশ কয়েকটি বাসের মালিক। রয়েছে নামে- বেনামে অগাধ সম্পদ। বাবা সৈয়দ নুর মিস্ত্রি।  

news24bd.tv/আলী