বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামে নবম শ্রেণির এক স্কুলশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সোহেল (১৭) নামে দূর সম্পর্কের চাচার বিরুদ্ধে।
প্রথমবার ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ ও আপত্তিকর ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় ওই কিশোরীকে। এসব ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়েরের পর ধর্ষক সোহেল (১৭) ও তার সহযোগী খালাত বোন মারুফাকে (১৪) গ্রেপ্তার করেছে আমতলী থানা পুলিশ। নির্যাতিতা কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রী দূর সম্পর্কের চাচা রাসেল মুসুল্লীর কাছে দর্জির কাজ শিখতে যায়। রাসেলের ছোট ভাই সোহেল মুসুল্লী প্রায়ই ওই শিক্ষার্থীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। অভিযুক্ত সোহেল এবং ধর্ষণের শিকার কিশোরী মেয়েটি সম্পর্কে চাচা-ভাতিজি। তাদের উভয় পরিবার একই বাড়িতে বসবাস করে।
গত বুধবার সোহেল মেয়েটিকে আবার শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। ভিকটিম তাতে রাজি না হওয়ায় পরদিন বৃহস্পতিবার সোহেল তার মুঠোফোন ধারণ করা ভিডিও ও ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ভিকটিমের পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে তার মা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে সোহেলকে প্রধান করে এবং ধর্ষণে সহযোগিতার জন্য খালাতো বোন ফারুফা এবং খালাতো ভাই শামীকে আসামি করে আমতলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ধর্ষক সোহেল এবং তার খালাতো বোন মারুফাকে ওই রাতেই আমতলী থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
ধর্ষক সোহেল কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের মাইনুদ্দিন মুসুল্লীর ছেলে। আর তার দুই সহযোগী খালাতো ভাই-বোন সফি আকনের দুই ছেলে-মেয়ে।
নির্যাতিতা মেয়েটির মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সোহেল সম্পর্কে আমার ফুপাতো দেবর। একই বাড়িতে আমরা বসবাস করি। সম্পর্কে সে আমার মেয়ের চাচা হয়। চাচা হয়েও সে আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। আবার শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে মেয়ে রাজি না হওয়ায় জোর করে তোলা ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের মানসম্মান নষ্ট করেছে। আমি এ ঘটনার কঠিন শাস্তি চাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নাসরিন সুলতানা জানান, মামলার পর পরই ধর্ষক সোহেল এবং সহযোগী খালাত বোন মারুফাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামি শামীম পলাতক রয়েছে। ধর্ষক সোহেলের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
আমতলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) রনজিত কুমার সরকার বলেন, ধর্ষক সোহেল এবং ধর্ষণে সহযোগিতার অপরাধে তার খালাত বোন মারুফাকে গ্রেপ্তারের পর আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন
শীর্ষ ব্যবসায়ীদের হত্যার পরিকল্পনা দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের নীলনকশা
news24bd.tv এসএম