ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্ত এলাকার মামুনুর রশিদ নামে এক কৃষক মুরগির খামার করে এলাকায় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন। বন্ধুর পরামর্শ আর নিজ উদ্যোগে সৌখিনভাবে গড়ে তুলেছেন লেয়ার জাতের মুরগির খামার। তার এ খামারটি থেকে প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে পাঁচ হাজার ডিম।
মামুনুর রশিদ পেশায় একজন কৃষক।
কৃষি কাজের পাশাপাশি বাড়তি লাভের আশায় বন্ধুর পরামর্শে বাড়ির পাশেই গড়ে তুলেছেন লেয়ার জাতের মুরগির খামার। মুরগির খামার করে এলাকার অনেকে হোঁচট খেলেও লাভবান ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার সামান্তবর্তী এলাকার দূর্লভপুর গ্রামের মামুনুর রশিদ।কৃষি কাজের পাশাপাশি ২০০৩ সাল থেকে এলাকায় ব্রয়লার মুরগি লালন পালন শুরু করেন। ৪-৫ বছর পর গাইবান্ধা জেলার এক বন্ধুর পরামর্শ নিয়ে ব্রয়লার ছেড়ে লেয়ার মুরগির সৌখিন খামারের যাত্রা শুরু করেন।
একটা সময় ওই উপজেলা সীমান্তের কাঁটাতার টপকিয়ে অনেকে অপরাধে জড়িয়ে পরলেও এখন মামুনুর রশিদের মত স্থানীয়ভাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে উঠায় অনেকেই কাজ পেয়ে খুশি।
বর্তমানে এই খামারে প্রতিদিন দশ জনের অধিক কাজ করছেন। মুরগি লালন পালনে তার খামারে এখন সংখ্যা প্রায় ছয় হাজার। এ থেকে নিয়মিত ডিম উৎপাদন হচ্ছে পাঁচ হাজার। আর এসব ডিম ক্রয়ে জেলা ও উপজেলা থেকে খামারে ছুটে আসছেন ব্যবসায়ীরা। তার সফলতায় উদ্যোগী হচ্ছেন আশপাশে অনেকে।
নিজ উদ্যোগে এগিয়ে গেলেও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মিলেনি পরামর্শ। স্বল্প সুদে ঋণ পেলে আরো এগিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মত এই উদ্যোগতার।
অভিযোগ অস্বীকার করে খোজ খবর নেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: আবুল কালাম আজাদ। জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার হিসেবে রানীশংকৈল উপজেলায় একশ তেরটি ব্রয়লার ও পাচটি লেয়ার মুরগির খামার রয়েছে।
আরও পড়ুন
ধর্মীয় শিক্ষার অপর্যাপ্ততা এবং কোরআন শিক্ষার মধ্যে কৃত্রিম দ্বন্দ্ব!
news24bd.tv এসএম