সিনেমাটি কি পুলিশদের জন্য ‘রিকমেন্ডেড’ ঘোষণা করা যায়?

সিনেমাটি কি পুলিশদের জন্য ‘রিকমেন্ডেড’ ঘোষণা করা যায়?

Other

পুলিশ হেফাজত থেকে ‘নিখোঁজ’ হয়ে যাওয়া স্বামীকে খুঁজে পেতে একেবারেই প্রান্তিক এক আদিবাসী সন্তানসম্ভবা নারীর মরিয়া হয়ে প্রচেষ্টার কাহিনী-‘জে ভিম’- এইটুকু বললে সিনেমাটির প্রতি খু-বই অবিচার করা হবে।

বন্ধু লেখক সালাহউদ্দিন শৈবাল বেশ কয়েকদিন আগেই সিনেমাটির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে দেখতে বলেছিলেন। মূলত তামিল মুভি হলেও তেলেগু, হিন্দি আরো কী কী ভাষায় যেনো ডাবিং হয়ে রিলিজ হয়েছে মুভিটি। আমি হিন্দিটাই দেখেছি এবং দেখতে গিয়ে গা হিম করা অনুভূতি নিয়ে মন্ত্রমুগ্ধের মতো বসে থেকেছি।

ছবিটি দেখার পর শৈবালের সাথে আবারো এ নিয়ে কথা হয়েছে এবং আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি-’ পুলিশ ব্রুটালিটি’র ‘মাষ্টার পিস’ সিনেমা এই ‘জে ভিম’। আর এই পুলিশ ব্রুটালিটিটা তামিল, তেলেগু হিন্দি বা কোনো নির্দিষ্ট সীমানার উপাখ্যানের মধ্যে সীমিত রাখা যাবে না।

পুলিশ কী কেবল ক্ষমতাসীনদের  নির্দেশেই ‘ব্রুটালিটি’ করে! না কি নিজেদের উৎসাহের আতিশয্যেও ব্রুটাল হয়ে ওঠে! এসব আলোচনার সুযোগ আছে বৈ কি, কিন্তু পুলিশ ব্রুটালিটি কতোটা ভয়াবহ হতে পারে এবং সেই ব্রুটালিটির পক্ষে রাষ্ট্র কীভাবে ব্যবহৃত হয় তার এক অসাধারণ উপাখ্যান এই ‘জে ভিম’।

আচ্ছা, ‘জে ভিম’ কে উপমহাদেশের পুলিশদের জন্য ‘রেকমন্ডেড’ সিনেমা হিসেবে ঘোষণার কোনো ব্যবস্থা কী করা যায়!

আরও পড়ুন


কক্সবাজারে চলতি সপ্তাহে ৩টিসহ সারাদেশে ৭টি বন্যহাতির মৃত্যু

news24bd.tv এসএম