ওমিক্রণ আতঙ্কে স্ত্রী-সন্তানকে 
নির্মমভাবে হত্যা করলেন চিকিৎসক

ফাইল ছবি

ওমিক্রণ আতঙ্কে স্ত্রী-সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যা করলেন চিকিৎসক

অনলাইন ডেস্ক

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন আতঙ্কে নিজের স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা করেছেন ভারতের এক চিকিৎসক। কলকাতার প্রভাবশালী দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা এ খবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়, ওই চিকিৎসক তার নিজের স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে হত্যা করে ভাইকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান। সেখানে লেখা ছিল, লাশ গুণতে গুণতে আমি ক্লান্ত।

ওমিক্রনের সংক্রমণ থেকে কেউ রেহাই পাবে না। এমন পরিস্থিতির যাতে শিকার না হতে হয়, তাই ওদের মুক্তি দিচ্ছি।

ভারতের উত্তরপ্রদশের কানপুরের এই চিকিৎসকের এমন কাজে শিউরে উঠেছেন অনেকেই। পুলিশ জানায়, স্ত্রী-সন্তানদের খুন করার পরই ভাইকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েছিলেন চিকিৎসক।

চিকিৎসকের এ ধরনের বার্তা পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান তার ভাই। তিনি গিয়ে দেখেন একটি ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তার বৌদি। অন্য ঘরে ভাইপো-ভাইঝি। এরপরই তিনি পুলিশে খবর দেন।

পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে এবং দুই সন্তানকে হাতুড়ি দিয়ে মাথার খুলি ফাটিয়ে খুন করেছেন চিকিৎসক। পুলিশকে চিকিৎসকের ভাই জানিয়েছেন, তার দাদা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।

তবে এই ঘটনার পেছনে শুধুমাত্র করোনা দায়ী নাকি অন্য কোনো কারণ আছে, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। সেই চিকিৎসককেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন:

ক্ষেপলেন পাপন, বললেন এতো বাজে পারফরমেন্স ৮ বছরে দেখিনি

কুয়েটে শিক্ষকের মৃত্যু: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ইউপি নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে নৌকা পেলেন যারা


তদন্তকারীরা চিকিৎসকের ঘর থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছেন। সেখানে তিনি খুনের কথা লিখেছেন। শুধু তাই নয়, ওমিক্রনের কথাও সেখানে উল্লেখ করেছেন তিনি। তদন্তকারীদের দাবি, ডায়েরিতে এটাও স্পষ্ট করে লেখা যে, ‘এখন থেকে আর লাশ গুণতে হবে না। করোনা সবাইকে মারবে। ’

news24bd.tv নাজিম