পর্যটক নারীকে ধর্ষণ: মূলহোতা আশিকের আস্তানার সন্ধান

ফাইল ছবি

পর্যটক নারীকে ধর্ষণ: মূলহোতা আশিকের আস্তানার সন্ধান

অনলাইন ডেস্ক

কক্সবাজারে ঘুরতে যাওয়া স্বামী ও সন্তানকে আটকে রেখে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মূলহোতা আশিকের অপরাধের আস্তানার সন্ধান মিলেছে। আশিক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কার্যালয়ের পাশেই গড়ে তুলেছিল তার আস্তানা।

এছাড়াও নিরাপদ অপরাধ কর্মের জায়গা হিসেবে সে ব্যবহার করতো বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ঝুপড়ি ঘর। গড়ে তুলেছিল সংঘবদ্ধ গ্রুপও।

এতদিন আশিকের ভয়ে কেউ কিছু না বললেও এখন তার সম্পর্কে মুখ খুলতে শুরু করেছেন অনেকেই।

সমুদ্র সৈকত এলাকার একটি সড়কে ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর সঙ্গে ধাক্কা লাগে আশিক গ্রুপের একজনের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই নারীকে একটি চায়ের দোকানে বসিয়ে রাখা হয়। ওই চায়ের দোকানের পাশেই আশিকের সব অপরাধের আস্তানা।

বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবাধে চলে মাদক সেবনসহ নানা অপরাধ। বিষয়টি স্বীকারও করেননিরাপত্তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা নাইট গার্ড। তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাউন্ডারির ভেতরে ঢুকে কিছু মানুষ মাদক সেবন করে।

স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বারবার উঠে আসছে আশিকুল ইসলামের নাম। আশিকের ছবি শনাক্ত হওয়ার পর থেকে তার সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য পাওয়া গেছে।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অপরাধী যেই হোক। আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, আশিকুররা কাদের সহযোগীতায় লালিত-পালিত তা শনাক্ত করা হবে। এলাকায় তারা কি কি কার্যক্রম করে এগুলো ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কক্সবাজারে নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে সদর মডেল থানায় ৭ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী। এর মধ্যে আশিকসহ চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে আর বাকি তিনজন অজ্ঞাত। এখনো তাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আরও পড়ুন


কাল ভোট আজ মারা গেলেন প্রার্থী

news24bd.tv এসএম