ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর সালিশ বৈঠকে মিমাংসা করায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন নির্যাতিত ওই কিশোরী। পরে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নিয়ে যায়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন আছে ওই কিশোরী।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আত্মহত্যার চেস্টা চালায় সে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল কাদের মিয়া নিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের একটি গ্রামে ওই কিশোরীর বাবা-মা মারা যাওয়ায় মামার বাড়িতে থেকে একটি স্কুলে পড়াশোনা করে আসছে।
পরে গত শুক্রবার ভোরে উমর ফারুক ওই কিশোরীর সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে যায়। পরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ সময় ভুক্তভোগীর ডাক চিৎকারে তার মামাসহ পরিবারের অন্যান্য লোকজন এসে উমর ফারুককে আটক করে।
এ ঘটনায় স্থানীয় মাতব্বররা তাদের বিয়ে করতে হবে জানিয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে মিমাংসা করে দেন। কিন্তু উমর ফারুকের স্ত্রী সন্তান থাকায় বিয়েতে রাজি হয়নি ওই কিশোরী। শুক্রবার রাতেই নির্যাতিতা বিষপানে আত্মহত্যার চেস্টা করে। পরে পরিবারের লোকজন তার চিকিৎসার জন্য ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
news24bd.tv/ কামরুল
