নোয়াখালীতে পুলিশের এক নারী কনস্টেবলের বিরুদ্ধে তার বাসার কাজে নিয়োজিত এক শিশুকে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক পেটানোর ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
মুঠোফোনে ধারণকৃত ওই ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, শিশুটিকে বাসার ছাদে নিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হচ্ছে। এ সময় শিশুটিকে নির্যাতনে লাঠি হাতে আরও এক নারীকে সহায়তা করতে দেখা যায়।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল রিনা আক্তার নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত।
স্থানীয় লোকজন জানায়, মাইজদী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের পশ্চিমে খন্দকার পাড়ায় অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা একেএম গোলাম মোস্তফার বাসার এক বছরের বেশি সময় ধরে কনস্টেবল রিনা আক্তার তার মা ও ছেলের স্ত্রীসহ বসবাস করে আসছেন। তাদের বাড়ি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। সেই সুবাদে এলাকার এক দিনমজুরের মেয়ে কলিকে (১৩) বাসায় কাজ করতে নিয়ে আসেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে কনস্টেবল রিনা আক্তার শিশুটিকে বাসার ছাদে নিয়ে হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। এইবার পাশের বাসা থেকে মুঠোফোনে নির্যাতনের চিত্র ধারণ করা হয়। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়।
ওসি আনোয়ার আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে এ সময় শিশুটি তাকে নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশকে কোনো তথ্য দেয়নি। আজ পুলিশ জানতে পারে ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে কনস্টেবল রিনা আক্তার কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন। এ ব্যপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমানডেন্ট মো. রেজাউল করিম জানান, টাকা চুরির অভিযোগে কনস্টেবল রিনা আক্তারের বাসায় তার গৃহকর্মীকে নির্যাতনের কথা তিনিও শুনেছেন। এ ব্যপারে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন
সোহাগ/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর
