টেস্টে ইতিহাস গড়া জয়

টেস্টে ইতিহাস গড়া জয়

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

এইতো পাঁচ মাস আগের কথা। দুই টেস্টে হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষে দেশে ফিরেছিল বাংলাদেশ। ওই দুটো হারের প্রতিশোধ তো অন্তত নেয়া হলো! চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আড়াই দিনে জয়, ঢাকা টেস্টও তিন দিনে জয়। সেটিও আবার এক ইনিংস হাতে রেখে।

বছরের শেষ ম্যাচটা শেষ হয়েছে ইতিহাস গড়েই। নিজেদের ১৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে কোনও দলকে ফলোঅনে ব্যাটিং করানোর মতো ঘটনা ঘটালো বাংলাদেশ।

সাদমান ইসলামের রঙ ছড়ানো অভিষেক। মিরপুরের মাঠে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের টানা শতকের ইনিংস।

বিপক্ষ দলের টানা পাঁচ ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে ইতিহাস গড়া। এক ইনিংসে ৭ উইকেট ও টানা দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেয়া মিরাজের। শেষ ম্যাচটা দুর্দান্ত হলো টাইগারদের।

ক্যারিবীয় দ্বীপে ৯ বছর আগে ২-০ তে হারানোর পর আবারো তাদের বিপক্ষে ২-০ তে টেস্ট সিরিজ জয় বাংলাদেশের।

মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার টস জিতে চমক দেখানো একাদশ দিয়েছিল বাংলাদেশ। পেসার ছাড়া একাদশে ছিল পাঁচজন স্পিনার।

প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের শত রানের ইনিংস। সাদমান ইসলাম, সাকিব আল হাসান, লিটন দাসের অর্ধশত রানে ভর করে ১০ উইকেটে ৫০৮ রানের বিশাল সংগ্রহ।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১১১ রান পর্যন্ত তুলে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সাকিব ৩ আর মিরাজ পেয়েছিল ৭ উইকেট।

প্রথম ইনিংসে ৩৯৭ রানে পিছিয়ে থেকে ফলোঅনে আবার ব্যাট করার সুযোগ পায় ক্যারিবীয়রা। তাতেও একই দশা সফরকারীদের।

ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন শিমরন হেটমেয়ার। প্রথম ইনিংসে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রান করা এই বাম-হাতি ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৯২ বলে ৯৩ রান। শত রান থেকে মাত্র ৭ রান দূরে থাকতে তাকে সাজঘরে ফেরান মিরাজ।

প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেয়া মিরাজ দ্বিতীয় ইনিংসেও নেন ৫ উইকেট! তাতেই ভেঙ্গে পড়ে ক্যারিবীয় ব্যাটিং লাইন আপ। মিরাজের সঙ্গে সাকিব নেন ১টি, তাইজুল নেন ৩টি আর নাঈম হাসান নেন ১টি উইকেট।

ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ হবার আগেই ২১৩ রানে ইনিংস শেষ হয় সফরকারীদের। টাইগাররা জয় তুলে নেয় ১৮৪ রান আর এক ইনিংস হাতে রেখে।

সম্পর্কিত খবর