বৃহস্পতিবার মতামত জানাবেন আন্দোলনকারীরা

বৃহস্পতিবার মতামত জানাবেন আন্দোলনকারীরা

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ছাত্রদের দাবির প্রেক্ষিতে সরকারি চাকরিতে কোন কোটা থাকবে না বলে সংসদে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ খবর শোনার পর সাধারণ অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বলছে, তারা রাতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনের মতামত জানাবে। সংগঠনের পক্ষে যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বিকেলে সংসদে সরকারি চাকরির কোটা প্রসঙ্গে বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, ‘এখন ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যা হলো কোটা। তারা কোটা চায় না। সংস্কার যারা চাচ্ছে তারা তো কোনো কোটা চায় না, তাই কোনো কোটা পদ্ধতিরই থাকার দরকার নাই। কারণ যখন আলোচনা হয়েছে, তখন আমাদের সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও তাদের মহিলা প্রতিনিধিরা ছিল, সেখানে বলা হলো, তারা কোটা চায় না, তারা শুধু পরীক্ষা দিয়ে চলে আসবে।
খুব ভালো কথা, আমি তখন খুব খুশি, কারণ আমি-ই নারী ক্ষমতায়নে সবথেকে বেশি কাজ করেছি। ’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি তাদের আমরা অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারব। তারাও বিভিন্ন জায়গায় কাজে জয়েন করতে পারবে। কাজেই এই কোটা নিয়ে যারা অন্দোলন করেছে, তারা এখন তারা ক্লাসে ফিরে যাক। '

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর আজ সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যে চলমান এ আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক।     
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আজকের মতো কর্মসূচি স্থগিত। রাতে কেন্দ্রীয় কমিটি বসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্য বিচার বিশ্লেষণ করবে। পরে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজু ভাস্কর্যে সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এর আগে দুপুরে কোটা সংস্কার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শুনতে চান আন্দোলনকারীরা। সরকারি চাকরিতে কোটা থাকবে না—প্রধানমন্ত্রীর বরাতে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানান সাধারণ অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কয়েকজন নেতা।  

এক প্রতিক্রিয়ায় সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান জানান, তাঁরা কোটা তুলে দেওয়া হোক চাননি, সংস্কার চেয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি ঘোষণা চেয়েছেন তিনি। রাশেদ খান বলেন, ‘কোটা থাকবে না, তা আমরা চাই না। আমরা সংস্কার চাই। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। কোটার দরকার আছে। সবার কথা বিবেচনা করে সেটার একটি সহনীয় পর্যায়ে সংস্কার চাই। ’ তিনি আরও বলেন, কোটার বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি বক্তব্য চান তাঁরা।

পরিষদের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহমেদও বলেন, কোটা সংস্কারের যে পাঁচ দফা দাবি করা হয়েছে, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা চান তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীকে সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে এ বিষয়ে। এ আন্দোলনে যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের সুচিকিৎসারও দাবি জানান তিনি।

সম্পর্কিত খবর